কমলগঞ্জে এক ব্যক্তি দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে: উত্তোলন করছেন সরকারী বেতন-ভাতা


মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : কমলগঞ্জে এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন যাবৎ একটি এমপিওভুক্ত ও অন্যটি নন এমপিওভুক্ত দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে সরকারী বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সকল সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে সরকারি বিধিমালা লঙ্ঘন করে আসছেন। জানা গেছে- কমলগঞ্জ উপজেলার ৩নং মুন্সিবাজার ইউনিয়নের পরানধর গ্রামে অবস্থিত “খয়রুন নেছা হাফিজিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা”এর সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন নজরুল ইসলাম। অপরদিকে, নজরুল ইসলাম একই উপজেলার ২নং পতনঊষার ইউনিয়নের “আহমদনগর দাখিল মাদ্রাসা”এর কেরানি হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে এমপিওভুক্ত কর্মচারী হিসেবে সরকারি বেতন-ভাতা নিয়মিত উত্তোলন করে আসছেন। নিয়ম লঙ্ঘন করা এই শিক্ষকের বাড়ি জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ২নং পতনঊষার ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের মৃত মফিজ মিয়া-এর পুত্র। অভিযোগ উঠেছে-“আহমদনগর দাখিল মাদ্রাসা” কেরানীর চাকুরীতে নিয়োগের ব্যপারে স্থানীয় ভাবে রয়েছে নানান অভিযোগ। এসব বিষয়ে স্থানীয় শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছে অসন্তোষ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাওলানা নজরুল ইসলাম এর মুঠোফোন ( ০১৭১২-৬৭৫২২৯, আজ ১১ মে- সময়- ৩: ৩৪ ঘটিকা:, ৩: ৩৩ ঘটিকা:, ৩: ২৯ ঘটিকা:, ৩: ২ ঘটিকা:, ৩: ১ ঘটিকা:, ৩: ঘটিকা:, ২: ৫৪ ঘটিকা:) একাধিকার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় ( সময়- তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। আহমদনগর দাখিল মাদ্রাসা এর সুপার কাজী আলম চৌধুরী বলেন- নজরুল ইসলাম উক্ত মাদ্রাসায় যোগদান করার পূর্বে তাকে বলা হয়েছে, “খয়রুন নেছা হাফিজিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসা” থেকে পদত্যাগ করার জন্য। একই ব্যক্তি দুই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকতে পারে না। কমলগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সামছুন নাহার পারভীন এ প্রতিবেদককে বলেন- বিষয়টি আমাকে মৌখিক ভাবে অবগত করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত প্রদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। একই ব্যক্তি দুইটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করতে পারে না।