// মো: মোমিন খান, আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার মাঠে মাঠে ইরি-বোরো ধানের শীষে ভরপুর। যেদিকেই চোখ যায় যেন এক অপরূপ সমারোহ। ইরি-বোরো ফসলের মাঠে বাতাসের দোলা খাচ্ছে ধানের শীষ। যেদিকে চোখ যায় সবুজে সমারোহ। তা দেখে খুশিতে কৃষকের মনে দোলা দিচ্ছে এক ভিন্ন আমেজ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার বাম্পার ফলনের আশা করলেও তারা শংকিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি, তীব্র রৌদের দাপদাহে ধানে চিটা পড়া এবং কামলা সংকট হবে কিনা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়ন মিলে ১২ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। এবার ইরিবোরো আবাদে সেচ সংকটে না পরায় ধান গাছে তেমন কোন রোগবালাই আক্রান্ত হয়নি। গত কয়েক বছরের মধ্যে সুন্দর তেজ। সেই ধানের গাছ ভাল রাখতে ও ধানের উৎপাদন বাড়াতে এবং তীব্র তাপদাহ থেকে ধানের গাছ ও শীষ রক্ষা করতে কৃষকরা উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ ও দিক নিদের্শনায় সার্বক্ষণিক কীটনাশক প্রয়োগ ও পরিচর্যা করায় এখন ধান গাছে বড়বড় শীষ বের হয়ে খাচ্ছে বাতাসের দোলা। আনন্দে দুলছে কৃষকদের মন। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে তারা। সিংগাহার গ্রামের কৃষক শাহাজান, চকবাড়িয়া গ্রমের কৃষক মালেক,গোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক মোবারক হোসেন, মজিদসহ অনেক কৃষকই বাম্পার ফলনের আশা করছেন। তবে তাদের মনে সর্বদা প্রাকৃতিক দুর্যোগ কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টি আতংক বিরাজ করছে। এছাড়া ধান কাটা মাড়াইয়ের শ্রমিক সংকটেরও আশংকাও রয়েছে তাদের। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মিঠু চন্দ্র অধিকারি জানান, ধান খেতে
তাপদাহ মোকাবিলা করতে সার্বক্ষণিক কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। চলতি ইরি-বোরো খেতে রোগবালাই নেই বললেই চলে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।