// হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপড়হাটী ইউনিয়নের গারখানা নালা হতে আল-আমিন মিয়া (৪৫) নামের এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দিবাগত রাতে এবং মরদেহ উদ্ধার করেছে শনিবার। এ ঘটনায় ছাপড়হাটী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কনক কুমার গোস্বামীসহ ১০ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেছে মৃত্যু ব্যক্তির স্ত্রী লাইজু বেগম। আল-আমিন মিয়া পাশ্ববর্তী রামজীবন ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে।
পরিবার এবং থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে তার বাড়িতে দাওয়াত খেতে আসা স্বজনদের সাথে রাত ১০টায় বাড়ি হতে বের হয়ে যায় আল-আমিন মিয়া। পরদিন সকালে গারখানা নালার পানির মধ্যে কচুরি পানার ভিতরে বিদ্যুতের তারে জড়ানো অবস্থায় মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
মৃত্যু ব্যক্তির স্ত্রী লাইজু বেগমের বলেন, বিদ্যুতের তার মাটিতে পড়ে থাকার কারণে রাতে অন্ধকারে তারে জড়িয়ে তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। এহেন দায়িত্বহীন কর্মকান্ডের কারণে তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি সঠিক বিচার চান।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয় কয়েকজন কৃষকের জানান, রাতের অন্ধকারে মাছ ধরতে গিয়ে হয়তো বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে বিদ্যুতের লাইনটি ছিল অবৈধ এবং ঝুঁকিপূর্ণ।
থানার ওসি মো. মাহবুব আলমের বলেন, গারখানা নালাটি সরকারিভাবে লিজ নিয়ে পরিচালনা করেন ছাপড়হাটী ইউপি চেয়ারম্যানসহ আরও বেশ কয়েজন স্থানীয় ব্যক্তি। পাশ্ববর্তী এক বাড়ি থেকে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে নালাটিতে আলোর ব্যবস্থা করেন তারা। বিদ্যুতের তার ঝুলানোর খুঁটিগুলো ছিল দূর্বল এবং হেলে পড়া। মানুষের চলাচল অনেকটা কষ্টকর ছিল। তিনি আরও বলেন এসব কারণে হয়তো বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে তার মৃত্যু হতে পারে। ময়না তদন্তে রিপোর্ট পেলে পরিস্কার হওয়া যাবে। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।