// নাজিম হাসান,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
রাজশাহীতে শাস্তি স্থগিত রেখে ও কারাগারে না পাঠিয়ে সমাজে খাপ খাইয়ে চলার সুযোগ দেয়া মুক্তি মিলেছে রাজশাহীর ৪১ শিশু-কিশোরের।৩৪ মামলায় ৪১ শিশু কিশোরকে মুক্তি দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার (২৫ মার্চ) রাজশাহী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মুহা. হাসানুজ্জামান এ আদেশ দেন। বেলা ১১টার দিকে আদালতে এ শিশুদের মামলা গুলোর দীর্ঘ চূড়ান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় আদালতে ৪১ শিশু-কিশোরের মধ্যে ৩৫ জন উপস্থিত ছিলেন। অপরাধে না জড়ানোর কারণে তাদের হাতে ফুল আর জাতীয় পতাকা দিয়ে চূড়ান্ত মুক্তি দিয়েছেন রাজশাহীর নারী শিশু আদালত-২। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত রাজশাহীতে শিশু আইনে হওয়া মামলার মধ্যে মাদক সেবন ও বহন, মারামারির মতো ঘটনায় ৩৪টি মামলায় আসামি হয়েছিল ৪১ জন। তাদের প্রথম বারের মতো এমন অপরাধে অপরাধী হওয়ায় বিচারক মুহা. হাসানুজ্জামান তাদের মুক্তি দেন।জেলা প্রবেশন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, প্রবেশন বলতে বোঝায় কোনো অপরাধীকে তার প্রাপ্য শাস্তি স্থগিত রেখে ও কারাগারে না পাঠিয়ে সমাজে খাপ খাইয়ে চলার সুযোগ দেয়া। প্রবেশন ব্যবস্থায় প্রথম ও লঘু অপরাধে দ-িত শিশু-কিশোর বা অন্য কোনো প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে কারাগারে না পাঠিয়ে আদালতের নির্দেশে শর্তসাপেক্ষে প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে নিজ বাসায় বা পরিবারের সঙ্গে থাকার সুযোগ দেয়া হয়। তিনি বলেন, গত এক বছরে রাজশাহীর শিশু আদালত-২ এর বিজ্ঞ বিচারক প্রায় ৮০টি মামলায় ৮০জন শিশুর কল্যাণে পারিবারিক সম্মেলনের মাধ্যমে ডাইভারশন গ্রহণের জন্য প্রবেশন কর্মকর্তাকে আদেশ প্রদান করেন। আদালতের আদেশে বিদ্যমান মামলার বাদী ও শিশুর অভিভাবকের উপস্থিতিতে শিশুর চারিত্রিক, মানসিক, আবেগীয় উন্নতির জন্য উপযুক্ত শর্তসমূহ আরোপ করি। ডাইভারশনের মেয়াদ সম্পন্ন এবং আরোপিত শর্তসমূহ যথাযথ ভাবে প্রতিপালন করায় বিজ্ঞ আদালত আজ ৪১ জন শিশুকে চূড়ান্ত মুক্তি দিলেন। এসময় তাদের হাতে ফুল ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা তুলে দেয়া হয়। পরে এসব শিশু-কিশোররা বাবা-মায়ের সঙ্গে আদালত থেকে বাড়ি ফিরে যায়।#