বড়াইগ্রামে ছয় মাস পর জানা গেলো মৃত্যুর কারণ : মা-মেয়ে গ্রেফতার


// নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের বড়াইগ্রামে সন্ধ্যা রাণী (৫৫) নামের এক নারীর মৃত্যুর ছয় মাস পরে জানা গেলো পরকীয়ার জেরে হত্যা করা হয়েছিল তাকে। মঙ্গলবার হত্যাকান্ডে জড়িত দুই নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয় । তবে এ মামলার প্রধান আসামী মাদক মামলায় জেল হাজতে রয়েছেন। হত্যাকান্ডের শিকার সন্ধ্যা রাণী উপজেলা বনপাড়া পৌরসভার কালিকাপুর গ্রামের সনাতন সরকারের স্ত্রী।
গ্রেপ্তার দুই নারী হলেন-কালিকাপুর গ্রামের পাপ্পু রোজারিওর স্ত্রী সুজনা কোড়াইয়া (৬০) ও মেয়ে শিউলী রোজারিও (২২)। এই মামলার প্রধান আসামী পাপ্পু রোজারিও মাদক মামলায় জেল হাজতে রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পাপ্পু রোজারিও একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। সন্ধ্যা রাণীর সাথে পাপ্পু’র দীর্ঘদিন যাবৎ পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে পাপ্পুর স্ত্রীর সাথে প্রায়ই সন্ধ্যা রাণীর ঝগড়া হতো। ২০২৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে তাদের দুজনের মধ্যে কথাকাটির এক পর্যায়ে পাপ্পু রোজারিও ক্ষুব্ধ হয়ে সন্ধ্যা রাণীর মাথায় বাটাম দিয়ে আঘাত করে। পরে স্বজনরা তাকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে যান। পরদিন তিনি নিজ বাড়িতে মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সাধারণ ডায়েরী মূলে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। সোমবার ময়না তদন্ত প্রতিবেদন দিলে তাতে সন্ধ্যা রাণীকে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-রবিউল ইসলাম বলেন, সন্ধ্যা রাণী মারা গেলে ওই সময় বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করা হয়। কিন্তু ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে হত্যার বিষয়টি উল্লেখ্য করা হলে তার স্বামী সনাতন সরকার বাদি হয়ে তিনজনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বড়াইগ্রাম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিউল আজম খান বলেন, তিনজন আসামীর মধ্যে মুল অভিযুক্ত জেল হাজতে রয়েছেন। তবে তাকেও এ মামলায় শ্যেন এরেস্ট (পূর্ণ গ্রেফতার) দেখানো হয়েছে। অন্য দুজনকে বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।