ভারতীয় ধনকুবের এন আর নারায়ণ মূর্তির স্ত্রী এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের শাশুড়ি শিক্ষাবিদ ও লেখক সুধা মূর্তিকে ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্য পদে মনোনীত করা হয়েছে।
শুক্রবার (৮ মার্চ) তাকে রাজ্যসভার সদস্য পদে মনোনীত করেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মূ।
এদিউকে, রাজ্যসভার সদস্য হওয়ায় সুধা মূর্তিকে অভিবাদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক বার্তায় তিনি বলেন, সংসদের উচ্চকক্ষে সুধা মূর্তির উপস্থিতি নারী শক্তির উন্নয়নে শক্তিশালী পদক্ষেপ।
১৯৫০ সালে ১৯ অগস্ট কর্ণাটকে জন্মগ্রহণ করেন সুধা। কর্মজীবন শুরু করেছিলেন ‘টাটা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড লোকোমোটিভ কোম্পানি’তে। বেঙ্গালুরুর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হিসাবেও কাজ করেছেন সুধা। কন্নড়, মারাঠি, ইংরেজিসহ বিভিন্ন ভাষায় তার ৪০টির বেশিও বই রয়েছে। তাদের দুই সন্তান। রোহন ও অক্ষতা। অক্ষতার স্বামী ঋষি সুনাক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
রাজ্যসভার সদস্য মনোনীত হওয়ার খবর পাওয়ার পর সুধা মূর্তি বলেছেন, ‘কাজের জন্য আরও বৃহত্তর প্ল্যাটফর্ম পেলাম। অত্যন্ত খুশি।’
আগেও সুধা মূর্তির রাজনীতিতে যোগদান নিয়ে একাধিকবার জল্পনা রটেছিল। এ নিয়ে তাকে একবার প্রশ্নও করা হয়েছিল- এতগুলো ভূমিকায় সফল হওয়ার পর কি তাকে রাজনীতিতে দেখা যেতে পারে? তার জবাব ছিল, বর্তমানে যে ভূমিকায় রয়েছি, তা নিয়েই খুশি। যেমন আছি, তাতেই সুখী।
সম্প্রতি সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত সুধা মূর্তি। ১৯৯৬ সালে তিনি ইনফোসিস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া গেটস ফাউন্ডেশনের সদস্য তিনি। কর্ণাটকে তিনি একাধিক অনাথাশ্রম খুলেছেন। এছাড়া এই রাজ্যের গ্রামে গ্রামে বহু উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তিনি যুক্ত।
সুধা মূর্তি ২০০৬ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন। আর ২০২৩ সালে তাকে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করে মোদি সরকার।