// জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ নির্বাচন (শুন্য আসন) এ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল। ঠাকুরগাঁও জেলা রিটার্নিং অফিস কর্তৃক এক গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। ঠাকুরগাঁও জেলা রিটার্নিং অফিস সুত্রে জানা যায়, শুন্য আসনে নির্বাচন করতে ৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা করেন। প্রত্যাহারের নির্দিষ্ট দিনে একজন প্রত্যাহার করলে ২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকেন। পরবর্তীতে ঋণ খেলাপি হওয়ায় ঠাকুরগাঁও জেলা রিটার্নিং অফিসার প্রার্থী এস,এম,ই মঈনের মনোনয়ন বাতিল করে অপর প্রতিদ্বন্দ্বি আব্দুল মজিদ আপেলকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। পরেই এস,এম,ই মঈন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে রিট পিটশন করেন। আদালত তার প্রার্থিতা সঠিক রয়েছে মর্মে প্রতীক বরাদ্দের আদেশ প্রদান করেন। অবশেষে গত ৫ মার্চ সুপ্রিম কোটের আপিলেইট ডিভিশন এস,এম,ই মঈনের আবেদন খারিজ করে ঠাকুরগাঁও জেলা রিটার্নিং অফিসারের গণবিজ্ঞপ্তি সঠিক রয়েছে বলে রায় প্রদান করেন। এ অবস্থায় ঠাকুরগাঁও জেলা রিটার্নিং অফিসার নির্বাচনে আব্দুল মজিদ আপেল ব্যাতীত আর কোন প্রতিপক্ষ না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষনা করেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় গতকাল শনিবার বিকেলে আব্দুল মজিদ আপেল প্রথমে জেলা আওয়ামীলীগ এর দলীয় অফিসে এবং পরবর্তীতে জেলা পরিষদ ডাক বাংলোতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান বাবলু, সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক সন্তোষ কুমার আগরওয়ালা, জুলফিকার আলী ভুট্টো, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত সমীর সহ দলটির অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪ অক্টোবর ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহ: সাদেক কুরাইশী মৃত্যুবরণ করলে পদটি শুন্য হয়। ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৭৫৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫৭৮ জন ও নারী ভোটার ১৮০ জন।