// কামরুল হাসান, টাংগাইল পতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে রাতের আঁধারে কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে নিচ্ছে স্থানীয় স্বর্না ইটভাটায়। এতে হুমকির মুখে পড়েছে আবাদি জমি।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের সিঙ্গুরিয়া নিকরাইল আঞ্চলিক সড়কের কাচিনা গ্রামে কয়েক একর কৃষি জমিতে দুইটি ভেকু মেশিন বসিয়ে ১০-১২ ফুট গভীর করে মাটি কাটছে। মাটি কেটে শত-শত ড্রাম ট্রাক দিয়ে ইটভাটায় নেয়া হচ্ছে। বেপরোয়া গতির ড্রাম ট্রাক চলাচলের কারণে ওই সড়ক দিয়ে সাধারণ মানুষের চলাফেরা ব্যাপক কষ্টদায়ক হয়ে পড়েছে। এছাড়াও ড্রাম ট্রাকের বিকট শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে স্থানীয়রা। তারা জানায় কৃষি জমিতে মাটি কাটার ফলে একদিকে যেমন আবাদ কমছে,অপরদিকে সরকারের কোটি টাকার সড়কটি খানা খন্দে পরিনত হচ্ছে।
স্থানীয় কলেজ পড়–য়া একাদিক শিক্ষার্থী জানায়, সিঙ্গুরিয়া- নিকরাইলের সড়কটি দিয়ে দশ গ্রামের সাধারণ মানুষের চলাফেরা। সড়কটি চাপা হওয়ায় মাটি ভর্তি ড্রাম চললে অন্য কোন যানবাহন যেমন ভ্যান অটোরিকসা চলাচল করতে পারছে না। প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে সাধারণ মানুষ।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানায়, স্বর্না ভাটার ম্যানেজার তারা মিয়া প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না।
নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আজিজুল হক বলেন, রাতের আঁধারে কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে শত-শত ড্রাম ট্রাক দিয়ে ভাটায় নেয় মাটি ব্যবসায়ীরা। ট্রাক চলাচলের কারণে সড়ক দিয়ে গ্রামের মানুষ সঠিকভাবে চলাফেরা করতে পারছেনা। আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের।
নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাসুদুল হক তালুকদার জানান, এ বিষয়ে তিনি আইশৃংখলা মিটিংয়ে একাধিকবার উথ্যাপন করেছেন। কোন পদক্ষেপ ও মাটি কাটা বন্ধ না হওয়ায় হতাশ তিনি।
এ বিষয়ে কালিহাতী সহকারী কমিশনার(ভুমি) মো. সিফাত-বীন-সাদেক জানায় রাতের আঁধারে কৃষি জমিতে মাটি কাটার বিষয়টি সর্ম্পকে তিনি অবগত নন। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।