// মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজার সরকারী কলেজের ছাত্র আব্দুল কাইয়ুম (২২)-কে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত ভিকটিমের পিএম ও ভিসেরা রির্পোট পাওয়া যায়নি। রাজনগর থানার পুলিশ অপমৃত্যু মামলা (নং-১৫/২৩ইং,তারিখ : ১৭/১১/২০২৩ইং) দায়ের করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে-রাজনগর উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নের মদিপুর সাকিনস্থ সামছু মিয়ার বাড়ীতে বিগত ১৬ নভেম্বর-২০২৩ইং। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তার মৃত্যু নিশ্চিত করে, মৃত্যুর প্রকৃত আলামত গোপন করার জন্য গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে, সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে দাবী করছেন নিহত আব্দুল কাইয়ুম এর মা খুদেজা বিবি (৬৪), ভাই তামিম মিয়া ও তার ভাবী রিমা বেগমসহ স্বজনরা। ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যা, না “আত্মহত্যা” বিষয়টি এখনো খোলাসা হচ্ছে না। গলায় ফাঁস দিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলাইয়া রাখিলেও তাহার এক পা মাটিতে ও অন্য পা পালংয়ের উপরে স্থির এবং দুচোঁখ ও মুখ বন্ধ অবস্থায় ছিল। মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে, সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়না তদন্ত রির্পোটে মৃত্যুর কারণ হিসাবে “আত্মহত্যা” উল্লেখ করা হয়েছে। মৃত: আব্দুল কাইয়ুম এর পরিবারের দাবী- মৃত: আব্দুল কাইয়ুম দীর্ঘদিন যাবৎ তার চাচাতো বোন রুনা বেগম (স্বামী- সামছু মিয়া) এর সমুহ সম্পত্তি ও যাবতীয় বিয়য়াদি দেখা শুনা করতো। বিষয়টি স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিতে পারেননি ছানু আহমদ (৬০), মশাহিদ মিয়া (৫৩), মোহাম্মদ আলী (কাবির মিয়া) (৪৮), ছিদ্দেক মিয়া (২০), হাজেরা বেগম (৫০), ফুলমতি (৪৫) ও সেলিনা বেগম। চাচাতো বোন রুনা বেগম এর পক্ষ নিয়ে কাজ করলে আব্দুল কাইয়ুম-কে প্রাণে হত্যা করা হবে বলে হুমকি প্রদান করা হয়। এ ব্যপারে জানতে চাইলে রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আব্দুস ছালেক বলেন- বিষয়টি আমি অবগত নয়। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারবো না।