// সঞ্জু রায়, বগুড়া:
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় লাথি মেরে গৃহবধূ ববিতা খাতুনের (২৫) গর্ভের ভ্রুণ হত্যা ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগে করা মামলায় এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ববিতা খাতুন উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের সুলতানহাটা গ্রামের জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, উপজেলার সুলতানহাটা গ্রামের খাখসার মন্ডলের ছেলে মন্টু মিয়া (৬০) ও তার স্ত্রী হাজেরা বেগম (৫৫)। বুধবার দুপুরের পর ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে তাদের বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মামলা সূত্রে জানা যায়, জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মন্টু মিয়ার সাথে ববিতার স্বামী জাহিদুল ইসলামের বিরোধ রয়েছে। পূর্ব বিরোধের জের ধরে ১৯ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যার দিকে মন্টু মিয়া ও তার লোকজন জাহিদুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে ববিতা খাতুনকে মারধরের এক পর্যায়ে লাথি মেরে তার গর্ভের ভ্রুণ হত্যা করে। এসময় তারা ববিতা খাতুনকে শ্লীলতাহানী ঘটিয়ে তার শরীর থেকে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় ওই বাড়িতে ববিতা ছাড়া অন্য কেনা সদস্য ছিল না। এ সুয়োগে ববিতাকে নানাভাবে নির্যাতন শেষে প্রতিপক্ষের লোকজন ওই বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। সংবাদ পেয়ে ববিতার স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরীক্ষা-নীরিক্ষা শেষে চিকিৎসক জানান ববিতার গর্ভের ভ্রুণ নষ্ট হয়ে গেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার জাহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় মন্টু মিয়া ও তার স্ত্রী সহ ৭ জনকে আসামী করা হয়েছে।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈকত হাসান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতার প্রমান পাওয়া গেছে। এ মামলার অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।