// নাটোর প্রতিনিধি:
লেখক পাঠক বই, একত্রিত হই শ্লোগান সামনে নিয়ে নাটোরে ষষ্ঠ বারের মত দিন ব্যাপী ব্যতিক্রমী এক পথ বই মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টার দিকে স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা প্রান্তজনের আয়োজনে নাটোর শহরের পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় এই পথবইমেলার উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম পিপি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ও পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি, সাধারণ স¤পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান, যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক অ্যাডভোকেট মালেক শেখ, বিশিষ্ট আইনজীবি খগেন্দ্রনাথ রায়,সিনিয়র সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা নবীউর রহমান পিপলু সহ বইপ্রেমীরা।
বুধবার সকাল থেকে মেলা প্রাঙ্গনে জড়ো হতে থাকে পাঠক ও লেখক। দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে এবং লেখক ও পাঠকদের মূল্যায়ন করতেই এমন আয়োজন বলে দাবি আয়োজকদের।দৈনিক প্রান্তজন নামের স্থানীয় একটি পত্রিকার প্রকাশক ও স¤পাদক সাজেদুর রহমান সেলিমের নিজের চেষ্টায় গত পাঁচ বছর থেকে আয়োজন করে আসছে এই পথ বইমেলা । এবারও বড়ো পরিসরে আয়োজন করা হয়েছে এই মেলা। পতাকা উত্তোলনের মাধ্যেমে শুরু হয় মেলার আনুষ্ঠানিকতা।মেলায় স্থানীয় লেখকদের বেশ কিছু বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন বিশিষ্টজনরা।
এ সময় জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ স¤পাদক অ্যাডভোকেট মালেক শেখ বলেন, পথ বইমেলার সূচনা দক্ষিণ আমেরিকায়। এরপর পথ বইমেলা ইউরোপে বিস্তার লাভ করে। বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলে পথ বইমেলার সূচনা নাটোরে। নাটোরের পথ বইমেলা বাংলা ভাষা ও সাহিত্য-সংস্কৃতির ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে। তিনি আরও বলেন, বই দেখার জিনিস নয়, বই পড়ার জিনিস।
উপস্থিত দর্শকরা জানান, প্রতি বছর মহান শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে দেশের প্রতিটি জেলায় বিভিন্ন আঙ্গিকে বইমেলা হয়ে থাকে।কিন্তু নাটোরের এই পথ বইমেলা স¤পূর্ণব্যতিক্রমী একটি বইমেলা। এখানে স্থানীয় লেখকদের লেখা বই বেশি স্থান পেয়েছে। এইবইমেলা নাটোরে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এই বইমেলার সময় যাতে একটুবৃদ্ধি করে মেলায় আগত দর্শকরা সে দাবী করেছে।এই ব্যতিক্রমী বইমেলায় এসে সবারই বেশ ভালো লেগেছে।
আয়োজক দৈনিক প্রান্তজন স¤পাদক সাজেদুল আলম সেলিম জানান, স্মার্টবাংলাদেশ গড়তে হলে সবাইকে জ্ঞান আহরণ করতে হবে। যাতে করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মোবাইল থেকেবইমুখী করা যায়; সেজন্যই তাদের এই উদ্যোগ।
মেলায় বই দেখে কোমলমতি শিশুরা খুশি। স্থানীয় বিশিষ্টজনরা মনে করেন দেশ প্রেম বাড়াতেই এমন আয়োজনের প্রয়োজন রয়েছে। এই পথ বই মেলায় শিশুদের জন্য আয়োজন করা হয় চিত্রাংকন সহ গল্প লেখার প্রতিযোগীতা।
অনুষ্ঠানে আয়োজকরা বলেন, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাবে। মুক্তচিন্তা, মেধাভিত্তিক দেশ গড়তে বই পড়ার কোন বিকল্প নেই। বইমেলা পাঠকের সাথে বইয়ের মেলবন্ধন তৈরী করে।