// সঞ্জু রায়, বগুড়া:
উত্তরবঙ্গের প্রাণকেন্দ্র ধরা হয় বগুড়াকে। কঠোর অধ্যবস্যায় ও মেধার প্রতিযোগিতায় ৪৩ তম বিসিএস পরীক্ষায় এ জেলা থেকে বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন ৫৩ জন। যাদের মাঝে প্রথম ধাপে ৩১ জন এবং দ্বিতীয় ধাপে শনিবার সকালে বগুড়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভাকক্ষে বাকি ২২ জন সুপারিশপ্রাপ্তদের সাথে মতবিনিময় সভা করে বগুড়া জেলা পুলিশ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বিপিএম, পিপিএম। এ সময় তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সকলকে নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করতে হবে। যে মেধা, অধ্যবসায় আর কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রতিযোগিতার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে যারা ৪৩ তম বিসিএস এ সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছে এখন সেই মেধায় কাজে লাগাতে হবে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে। জেলা পুলিশের পক্ষে এসময় তিনি সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের জন্যে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
পুলিশ সুপারের পাশাপাশি সভায় অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে তাদের ব্যক্তিত্ব অর্জনে করণীয়, কর্মক্ষেত্রে পরিবেশ রক্ষা, প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলার সক্ষমতা তৈরি, মনোবল গঠন এবং দেশের উন্নয়নে সর্বদা নিজের ত্যাগ ও মেধার পরিচয় দেয়া সংক্রান্ত নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) ও পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার, পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোতাহার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) সুমন রঞ্জন সরকার প্রমুখ।
সভায় উপস্থিত ৪৩ তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত গর্বিত শিক্ষার্থীরাও ইতিবাচক অনুভূতি প্রকাশ করেন এই মতবিনিময়ে। তাদের অনেকে বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের একজন গর্বিত সদস্য অতিরিক্ত ডিআইজি সুদীপ কুমার চক্রবর্তীর দেখানো পথ ও দিকনির্দেশনা তাদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবনে অনেক সহায়ক হবে। এমন মতবিনিময় আয়োজনের জন্য তারা বগুড়া জেলা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বগুড়ার সন্তান হিসেবে নিজ জেলার কল্যাণেও ভবিষ্যতে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।