রোজকার সঙ্গী হোক এক মুঠো কাঠবাদাম

// কাঠবাদাম খেতে আমরা অনেকেই পছন্দ করি। তবে অনেকেই জানি না একে সুপারফুড বলা হয়। ভিটামিন-ই, ম্যাগনেসিয়াম ও নানা ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে এই বাদাম। নানা রকম রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। সকালবেলা খালি পেটে ভেজানো কাঠবাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যকর।

ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টিবিদ্যা বিভাগের গবেষকদের করা একটি গবেষণায় বলছে, ভেজানো বাদামের উপকারিতা আলাদা। কাঠবাদাম ভিজিয়ে রাখলে ‘লাইপেস’ নামে একটি উপাদান নির্গত হয়। যা হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

উপকারিতা

রোজ কাঠবাদাম খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা প্রয়োজন মতো বাড়তে পারে। মানুষের রক্তে এইচডিএল (HDL) এর মাত্রা কম এবং এলডিএল (LDL) এর মাত্রা বেশি হলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। বেশি মাত্রার LDL স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মনো আনস্যাচুরেটেড এবং পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধির সঙ্গে কাঠবাদাম পেটের মেদ কমাতেও সাহায্য করে। এতে ফ্যাটের পরিমাণ অনেক। কিন্তু তা হল মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা স্বাস্থ্যের উপকার করে। তাই এর থেকে শরীরের জন্য উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রাই বাড়ে।

কাঠবাদামে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটোকেমিক্যাল সমূহ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে শরীরে বিভিন্ন রকম রোগ এবং জীবাণুর সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি। যা মস্তিষ্কের কোষগুলোকে উন্নত করতে সহায়তা করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। বাচ্চাদের ছোটবেলা থেকেই প্রতিদিন কাঠবাদাম খাওয়ার অভ্যাস করলে স্মৃতিশক্তি অনেক বেশি প্রখর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে অবশ্যই তেলেভাজা লবণাক্ত বাদাম খাওয়া উচিৎ নয়। পানিতে ভিজিয়ে ছিলে খাওয়া ভালো।

কাঠবাদামে ফাইবার আর প্রোটিনের মাত্রাও কম নয়। তাই কয়েকটি বাদাম খেলে অনেকক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। ফলে যাদের ওজন ঝরানোর ভাবনা রয়েছে, তাদের জন্য এই বাদাম বেশ উপকারী। কম পরিমাণ খাবার খেয়েও বেশিক্ষণ থাকা যায় এক্ষেত্রে।