নাটোরের বড়াইগ্রামে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ৫ জনকে ১০ বছর করে আটকাদেশ দিয়েছে আদালত

// নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের বড়াইগ্রামে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ৫ জনকে ১০ বছর করে আটকাদেশ দিয়েছে আদালত। আজ বৃহ¯পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতণ দমন ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম। দন্ডপ্রাপ্তরা হল উপজেলার চান্দাই গ্রামের মাহাবুল ইসলামের ছেলে পল্লব ,আলঅউদ্দিনের ছেলে শোভন ও আব্দুর রহিমের ছেলে ছাইদুর রহমান এবং উপজেলার রাজেন্দ্রপুর গ্রামের ওম্বর আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম ও মিজাউল ইসলামের ছেলে টুটুল।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, অভিযুক্তরা এলাকার বখাটে হিসেবে পরিচিত। তারা প্রায় স্কুলে যাওয়ার সময় ওই স্কুল ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব সহ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসতো। তাদের প্রস্তাব প্রত্যাক্ষান করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বখাটেরা। এরই এক পর্যায়ে ২০১৩ সালের ২০ ফেব্র“য়ারী রাতে বখাটেরা ওই স্কুল ছাত্রীর বাড়ীতে গিয়ে ঘরের দরজা খুলে মুখে কাপড় বেধে তুলে নিয়ে যায় বাড়ীর পাশের একটি আখ ক্ষেতে। সেখানে নিয়ে গিয়ে তারা ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষন করে। পরে তার ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা সহ ওই ছাত্রীর বাড়ীর লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েকে বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। পরে মেয়েকে উদ্ধার করে বাড়ীতে নিয়ে যায় এবং মেয়ের মুখ থেকে বিস্তারিত ঘটনা শুনতে পায়। এ ঘটনায় ২১ ফেব্র“য়ারী মেয়ের বাবা বাদী হয়ে ৫ জনের নামে বড়াইগ্রাম থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দেয়। দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর মামলার স্বাক্ষ্য প্রমান গ্রহন শেষে অভিযুক্তদের উপস্থিতিতে প্রত্যেককে ১০ বছর করে আটকাদেশ দেয় আদালতের বিচারক।