// রাজশাহীর বাঘায় নাট্যকার, নাট্য পরিচালক ও সাংবাদিক শিমুল সরকারকে লোহার রড়, চা পাতি ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। ভোটের দিন ৭ জানুয়ারী আনুমানিক রাত ৯.১৫ টায় উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের সরেরহাট বাজারে স্মৃতি স্টুড়িও’র সামনে তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়।
এ ঘটনার পরের দিন ৮ জানুয়ারী তার ছোট ভাই ফরহাদ হোসেন বাদি হয়ে ৬ জনকে আসামী এবং অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামি করে বাঘা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। শিমুল সরকার সরেরহাট গ্রামের বাঘা শাহদৌলা কলেজের সাবেক প্রফেসর, এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মৃত নুরুল ইসলাম সরকারের বড় ছেলে এবং বাংলাদেশের মিডিয়াতে জনপ্রিয় একজন পরিচালক, নাট্যকার, প্রযোজক এবং দুইটি অনলাইন পোর্টালের চীফ এডিটর।
জানা যায়, শিমুল সরকার ভোটের দিন ৭ জানুয়ারী রাত ৯.১৫ টার দিকে সরেরহাট বাজারে স্মৃতি স্টুডিওর সামনে পথরোধ করে শাহিনুর রহমান (২৪) প্রথমে মাথায় আঘাত করে। তারপর ৫/৬ জন ঘিরে ধরে এবং শাহিনুর ইসলাম, হাফিজুর রহমান, রিংকু হোসেন, শফিকুল ইসলাম রাজা, মাসুম হোসেন, আরিফুল ইসলামসহ লোহার রড়, চা পাতি ও চাইনিজ কুড়াল নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করে। ওই সময় খবর পেয়ে তার ছোট ভাই ও স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
শিমুল সরকার দীর্ঘদিন থেকে নাট্যকার ও নাটক পরিচালনা করে আসছেন। তিনি ঢাকায় নাট্যকার ও নাটক পরিচালক হিসেব ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেছেন এবং অন্তত ৪ শতাধিক পর্ব নাটকের পরিচালক এবং নাট্যকার তিনি। এছাড়া ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ, টেলিভিশন এন্ড ডিজিটাল প্রোগ্রাম প্রডিউসার এসোসিয়েশন, একটরস ইকিউটি বাংলাদেশের সক্রিয় সদস্য এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার এবং প্রকাশনা সেলের ক্রিয়েটিভ উইংসে কাজ করেন। ভোট উপলক্ষে ২ জানুয়ারী নিজ বাড়িতে আসলে পূর্ব শত্রুতার জের হিসেবে এ ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেছেন এলাকার চিণহিত ইমো হ্যাকার ও মাদক কারবারি চক্রের কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করে জনমত তৈরির চেষ্টা করেন বলে ঢাকায় বসে নিয়ন্ত্রণ করা এইসব ইমো হ্যাকার এবং মাদক চক্রের হোতা বিভিন্ন সময় তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন। একাধিক জিডিও করা ছিল এ ব্যাপারে বলে নিশ্চিত করেছেন শিমুল সরকার।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। একজন আসামী গ্রেফতার হয়েছে, বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। শিমুল সরকার নির্মিত উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে চোরকাব্য, ডাইরেক্টার, বউ চুরি, মামার হাতের মোয়া, হানিমুন ঠ্যালাগাড়ি, শাস্তি, আগুনের ফুল, গুপ্তধন এবং একজন বৃদ্ধ, মা কে আমার পড়ে না মনে, কপিলা, কাইলু ইত্যাদি।