// নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের চারটি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র, জাতীয় পাটি, ওয়াকার্স পাটি, জাসদ, বিকল্পধারা, তৃনমূল বিএনপি, বাংলাদেশ কংগ্রেস, তরিকত ফেডারেশন, জেপি ও বিএনএম এর ২৪ এমপি প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। এর মধ্যে শুধুমাত্র ৬৫ ভোট থেকে শুরু করে এক হাজারের নিচে ভোট পেয়েছেন ১৭জন প্রার্থী।
নাটোর জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক আবু নাসের ভুঞা প্রদত্ত ফলাফল অনুযায়ী, এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোরের চারটি আসনে শেষ পর্যন্ত চুড়ান্ত প্রার্থী ছিলেন ৩২জন। এর মধ্যে মোট প্রদত্ত ভোটের আট শতাংশের নিচে ভোট পাওয়ায় জামানত বাতিল হয়েছে ২৪জন এমপি প্রার্থীর। নাটোর-১(লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে মোট প্রদত্ত ভোট এক লাখ ৭০হাজার ২৪৯। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা কাজল রায় (ঢেঁকি প্রতীক-১১৩৬), জাতীয় পাটির মোঃ আশিক হোসেন (লাঙ্গল-২০৩৬),ওয়াকার্স পাটির মোঃ ইব্রাহীম খলিল (হাতুড়ি-৩৪৩০), জাসদের মোয়াজ্জেম হোসেন (মশাল-৮১৭), সুপ্রিম পাটির লিয়াকত আলী (একতারা-৪৫১), কর্নেল রমজান আলী সরকার (কাঁচি-২৬১৪), ও জামাল উদ্দিন ফারুক (ট্রাক-৪৬৮) ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। নাটোর-২(সদর-নলডাঙ্গা) আসনে মোট প্রদত্ত ভোট এক লাখ ৮৭হাজার ৪১। এর মধ্যে জাতীয় পাটির সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. নুরুনবী মৃধা (লাঙ্গল-২৭১৫),জাসদের শরিফুল ইসলাম (মশাল-৫৮০)ও বাংলাদেশ কংগ্রেস এর বজলুর রশীদ (ডাব-৮৩৯) ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনে মোট প্রদত্ত ভোট এক লাখ ৮৪হাজার ৭০৫। এর মধ্যে জাতীয় পাটির আনিসুর রহমান (লাঙ্গল-৭৭৯), ওয়াকার্স পাটির নেতা সিংড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান (হাতুড়ি-৬৩৮), বিকল্পধারার সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন (কুলা-২৩০),তৃনমূল বিএনপির আবুল কালাম আজাদ (সোনালী আঁশ-২১৯), বাংলাদেশ কংগ্রেস এর আমিরুল ইসলাম (ডাব-২০৮), তরিকত ফেডারেশনের আলতাফ হোসেন (ফুলের মালা-৬৫) ও স্বতন্ত্র আব্দুল্লাহ আল মামুন (ট্রাক-১২৪) ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনে মোট প্রদত্ত ভোট দুই লাখ ১৩হাজার ৩৭৩। এর মধ্যে গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও গুরুদাসপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (ঈগল-১২৯১), অধ্যাপক আলা উদ্দিন মৃধা (লাঙ্গল-২৮৬), জেপির সেলিম রেজা (বাইসাইকেল-২৫৩), বিএনএম এর গাজী আবু সায়েম রতন (নোঙ্গর-১৪০), তৃনমূল বিএনপির আব্দুল খালেক সরকার (সোনালী আঁশ-৭২), বাংলাদেশ কংগ্রেস এর শান্তি রিবারু (ডাব-২৭৩)ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সুজন আহমেদ (দোলনা-২৭১৫) ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। তবে এর মধ্যে জাতীয় পাটির জেলা সভাপতি অধ্যাপক আলা উদ্দিন মৃধা (লাঙ্গল) নির্বাচনের বেশ কয়েকদিন আগে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন।