নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনের প্রিজাইডিং অফিসারের হাত থেকে এজেন্টের কাগজ ছিনতাইয়ের অভিযোগ

// নাটোর প্রতিনিধি
নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনের চামাড়ি ইউনিয়নে প্রিজাইডিং অফিসারের হাত থেকে স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর এজেন্টদের কাগজ ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে।শনিবার(৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ৮ টার দিকে উপজেলার চামাড়ি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সোনাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।

স্বতন্ত্র ( ঈগল প্রতীকের) প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শফিকের ওই ওয়ার্ডের এজেন্ট সানোয়ার হোসেন অভিযোগ করেন প্রিজাইডিং অফিসারের হাত থেকে কাগজ ছিনতাই করা লোকজন নৌকার পার্থী জুনাইদ আহমেদ পলকের সমর্থক।

ভুক্তভোগী ঈগল প্রতীকের এজেন্ট সানোয়ার হোসেন বলেন, শনিবার রাতে আমাকে ঈগল প্রতীকের এজেন্টদের কাগজ জমা দেওয়ার কথা জানানো হয়। রাত আটটার দিকে আমি এই ওয়ার্ডের ঈগল প্রতীকের ৬ জন এজেন্টের কাগজ নিয়ে সোনাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের রুমে গিয়ে তার হাতে কাগজ পত্র গুলো জমা দেই। এসময় হঠাৎ ওই এলাকার নৌকার সমর্থক কামরুল ইসলাম ঝান্টু, কালাম, আহম্মদ, শামীম সহ আরও বেশ কয়েকজন লোক ওই রুমে এসে প্রিজাইডিং অফিসারের হাত থেকে আমাদের কাগজ গুলো কেড়ে নেয়। পরে আমাকে আনসার বাহিনীর সামনে ওই রুম থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে স্কুলমাঠের কোনায় নিয়ে গিয়ে মারধর করে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এজেন্টের একটি কাগজও এখন প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে নেই। জানিনা কালকে ভোট কেন্দ্রে এজেন্ট হিসেবে থাকতে পারবো কিনা।’

এবিষয়ে জানতে সোনাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ড. নুর আহমেদ শেখের মুঠোফোনে কল করা হয়। তিনি রিসিভ করলে সাংবাদিক পরিচয় দিলে ফোনের লাইন কেটে দেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চেয়ে তার ফোনে ক্ষুদে বার্তা ও একাধিকবার ফোন করলেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রধান এজেন্ট কামরুল হাসান বলেন, সোনাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ মোট ৩ টি কেন্দ্রে ঈগল প্রতীকের এজেন্টদের কাগজ জমা দিতে বাধা দিয়েছে নৌকার সমর্থকরা। তাদের (নৌকা সমর্থকদের) মূল কথা হচ্ছে ঈগল প্রতীকের কোনো এজেন্ট থাকতে পারবে না। যাতে চুরি করে ভোট প্রদান করতে সুবিধা হয়। কেননা এজেন্ট থাকলে তো চুরি করা সম্ভব না।

তিনি বলেন, এসব ঘটনায় আমাদের প্রার্থী ( শফিকুল ইসলাম শফিক) রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন।

সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা’।

এবিষয়ে জানতে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিংড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা খাতুনের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।#