// ২০২৪ সালের মাঝামাঝিতে অনুষ্ঠিত হবে ভারতের লোকসভা নির্বাচন। তবে এখন থেকেই এ নির্বাচনি প্রচারণার প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটির রাজনৈতিক দলগুলো । একদিকে যেখানে দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপির লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের হাতিয়ার হতে চলেছে অযোধ্যার রাম মন্দির, সেখানেই কংগ্রেসের প্রচারে ভরসা হবে ভারত জোড়ো যাত্রার দ্বিতীয় পর্ব। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বেই আবার শুরু হতে চলেছে জনসংযোগ যাত্রা। তবে এবার আর ভারত জোড়ো যাত্রা নয়, এবার কংগ্রেসের জনসংযোগ যাত্রার নাম ‘ভারত ন্যায় যাত্রা’।
কংগ্রেস সূত্রে জানা গেছে, গতবার যেমন দক্ষিণ থেকে উত্তর ভারতকে জুড়েছিল রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা, এবার তা পূর্ব থেকে পশ্চিম ভারতকে জুড়বে। আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে ভারত ন্যায় যাত্রা। কংগ্রেসের এবারের জনসংযোগ যাত্রা শুরু হবে সহিংসতায়-বিধ্বস্ত মণিপুর থেকে। মোট ১৪টি রাজ্যের ৮৫টি জেলার মধ্যে দিয়ে গিয়ে আগামী ২০ মার্চ তা শেষ হবে মুম্বাইয়ে।
এবারও কংগ্রেসের জনসংযোগ যাত্রার নেতৃত্বে থাকবেন সাংসদ রাহুল গান্ধী। মণিপুর থেকে শুরু করে নাগাল্যান্ড, অসম, মেঘালয়, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, ছত্তীসগড়, রাজস্থান, গুজরাট হয়ে মহারাষ্ট্রে শেষ হবে ভারত ন্যায় যাত্রা। মোট ৬২০০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে অতিক্রম করবেন রাহুল গান্ধী। ১৪ জানুয়ারি মণিপুর থেকে এই যাত্রার সূচনা করবেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।
শুধু পায়ে হেঁটে নয়, ভারত ন্যয় যাত্রায় বাসও থাকবে। আরও বেশি সংখ্যক মানুষ যাতে এবার কংগ্রেসের জনসংযোগ যাত্রায় অংশ নিতে পারেন, তার জন্যই বাসের ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, কন্যাকুমারী থেকে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুরু করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি যেই যাত্রা শেষ হয় কাশ্মীরে। ১৩০ দিন ধরে দেশের ১২ রাজ্য ও দুই কেন্দ্র শাসিক অঞ্চলে ঘোরেন রাহুল। কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত হেঁটে পার করেন প্রায় ৪০০০ কিলোমিটার পথ।