সাইয়িদের নির্বাচনী ট্রাকে টুকুর সহোদর

// ওসমান গণি, বেড়া, পাবনা ঃ
রাজনীতিতে শেষ বলে কোন কথা নেই, কথাটি আসলে সত্য। রাজনীতিতে স্বার্থের জন্য এক সময়ের শত্রু হয়ে যায় পরম বন্ধু, আবার ভাই হয়ে যায় শত্রু। একে অপরের হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বি, আবার অনেক সময় হানাহানির মতো ঘটনাও ঘটে থাকে। এরই নাম রাজনীতি। বলছিলাম পাবনা-১(বেড়া-সাঁথিয়া) আসনে আ.লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী ডেপুটি স্পিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. শামসুল হক টুকুর আপন সহোদর বেড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আ. বাতেনের কথা। স্থানীয়রা জানান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পাবনা-১ আসনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবু সাইয়িদের পক্ষে এবং ভাই শামসুল হকে টুকুর নৌকা মার্কার বিপক্ষে ভোট করার জন্য ঢাকা থেকে গত ১৭ ডিসেম্বর এক সাথে নিজ এলাকা বেড়ায় এসেছেন অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও আ. বাতেন। সাইয়িদের বাসভবনেই আ. বাতেন উঠেছেন বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। আবু সাইয়িদের অনুসারী একাধিক নেতা-কর্মী এ প্রতিবেদককে জানান, গত ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর সাবেক মেয়র আ. বাতেন ও আবু সাইয়িদ দুজন মিলে তার নিজ মহল্লা বৃশালিখায় গণসংযোগ, মিছিল, পথসভা, ট্রাক প্রতীকে ভোট চাওয়া সহ বিভিন্ন এলাকায় ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। অপরদিকে আ.লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী এড. শামসুল হক টুকু নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ, বর্ধিত সভা, পথসভা ও নৌকার পক্ষে মিছিল করে আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। অনেকেই মনে করছেন নির্বাচনে শামসুল হক টুকুর সহোদর বেড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আ. বাতেন বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারেন। সাবেক মেয়র আ. বাতেন ভাই শামসুল হক টুকুর রাজনৈতিক বিষয়ে দীর্ঘ ২২ বছর দেখভালের কারণে বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলায় শক্ত অবস্থান সৃষ্টি করেছেন। বর্তমানে শামসুল হক টুকুর সাথে ভাই আ. বাতেনের মুখ দেখাদেখিও বন্ধ বলে স্থানীয়রা জানান। এ বিষয় ভোটের মাঠে নেতিবাচক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে দলীয় সমর্থকরা মনে করছে। আবার অনেকেই বলছেন সরকার ও নির্বাচন কমিশন(ইসি) থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন করার যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে সেই ভাবে সুষ্ঠু ভোট হলে ভোটের লড়াইয়ে নৌকার প্রার্থী বর্তমান ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. শামসুল হক টুকু নৌকা প্রতীক নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি পড়তে হতে পারে বলে অনেক ভোটাররা অভিমত ব্যক্ত করেছন।