// চলতি ডিসেম্বর মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের নিচে নেমে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার। রোববার (১০ ডিসেম্বর) ঢাকায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট দিবসের এক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
অর্থসচিব বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতির এখন একমাত্র চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা। তবে সংকোচনমূলক মূদ্রানীতি এবং সংকোচনমূলক আর্থিক নীতির মাধ্যমে—তার অনেকটা আমরা উত্তরণ করতে পেরেছি। গত মাসে শূণ্য দশমিক ৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতি কমেছে। এতে আমি আশাবাদী, ডিসেম্বর মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাশের নিচে নেমে আসবে।’
তিনি আরও বলেন, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৭ দশমিক ৫ শতাংশে চলে আসবে। আগামী অর্থবছর মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৬ শতাংশের নিচে থাকবে বলে জানান তিনি।
কোভিড পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার দ্রুত হয়েছে উল্লেখ করে অর্থসচিব বলেন, ‘বৈশ্বিক নানা চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে আমরা আগেভাগেই সংকোচনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আর্থিক ব্যয়ের ক্ষেত্রে কৃচ্ছতা সাধন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির শক্তিশালী অবস্থা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে রাজস্ব আয় ৫ লাখ কোটি টাকা। সুতরাং ঘাটতি বাজেট ২ লাখ ৬১ হাজার টাকার। এই ঘাটতি বাজেট মেটানোর জন্য সরকারকে ঋণ নিতে হয়। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য সরকার বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ না নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে ঋণ নেওয়ার চেষ্টা করে। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক ঋণ বা অনুদান গ্রহণের সীমাবদ্ধতা আমাদের বাড়তে থাকবে। তাই এনবিআরকে আরও বেশি রাজস্ব সংগ্রহের প্রতি মনোযোগি হতে হবে।’