// মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ শ্রীমঙ্গলে ইসলামপুর (সিন্দুরখান) গ্রামে পূর্ব শক্রতার জের ধরে সৎ ভাই, বোন ও ভ্রাতুসপুত্রদের পৃথক হামলা ও পৃথক তারিখে হাসান ও তার মা মায়া বেগম মৃত্যুর ঘটনায় অবশেষে সিআইডি‘র দীর্ঘ তথ্য অনুসন্ধান ও মৌলভীবাজার বিজ্ঞ আদালতে দাখিলকৃত সম্পূরক অভিযোগপত্রে হত্যা কান্ডের মূল রহস্য বেরিয়ে এসেছে। সৎ ভাই সাইফুল আলম@ আছিদ আলী (৫০), পারভীন বেগম@ পারভীন আক্তার (৪০), মোঃ উমর আলী (৪০), দিলারা বেগম (৩৫), আব্দুল আলী (৪২) (বর্তমানে মৃত), এবং মোঃ মতিউর রহমান শাকিল ( ঘটনার তারিখে ১৫ বছর ১০ মাস ১২দিন)দের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। মৌলভীবাজার ২নং আমলী (শ্রীমঙ্গল) বিজ্ঞ আদালত সিআইডি‘র অভিযোগপত্র গ্রহন করেছেন। আজ ১১ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার ২নং আমলী (শ্রীমঙ্গল) বিজ্ঞ আদালতে ধার্য তারিখ ছিল। এ সময় বিজ্ঞ আদালতে মামলার বাদী মোঃ জাফর আলী ও আদালত থেকে জামিন প্রাপ্ত আসামী আছিদ আলী, পারভীন আক্তার, উমর আলী, শিউলী বেগম ও জামিল বিজ্ঞ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাদী উক্ত আসামীদের জামিন বাতিলের আবেদন করেন। জখমীদ্বয়ের মেডিকেল সার্টিফিকেট, মৃতের সুরতহাল প্রতিবেদন, ময়না তদন্ত প্রতিবেদন এবং ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় ও সিআইডি‘র অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়- সাইফুল আলম@আছিদ আলী যে কোন বিষয়ে নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন। উক্ত পৃথক হামলা ও পৃথক মৃত্যুর ঘটনা তার উপস্থিতি ও উস্কানিতে সংঘটিত হয়েছে। মামলার বাদী মোঃ জাফর আলী জানান- সুরতহাল রির্পোটে মারামারিতে গুরুতর জখম প্রাপ্ত হইয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কারণ উলে¬খ থাকা সত্তেও শুধুমাত্র চাকুরীজীবি সৎ বোন ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক সৎ ভাইগংদের কারণে পুলিশ ২টি হত্যা (হাসান ও তার মা মায়া বেগম) কান্ডের ঘটনায় ছিল নিরব। গত ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর আকবর আলীর প্রথম স্ত্রী খোদেজা বেগম এর সন্তান আছিদ আলী, উচ্চ পদে সরকারী চাকুরীজীবি সৎ বোন পারভীন বেগম, উমর আলী, দিলারা বেগম, আব্দুল আলী, শিউলী বেগম, জামিল মিয়া, শাকিল মিয়া ও তারেক মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জন মিলে-মিশে সন্ত্রাসী কায়দায় মোঃ জাফর আলী ও তার মা মায়া বেগমের উপর দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। গুরুতর আহত মায়া বেগমকে প্রথমে শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে পরে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে এবং সর্বশেষ ২৬ ডিসেম্বর ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। অপরদিকে, গত ২০১৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারী প্রকাশ্যে ভাই হাসান মিয়া (২০) এর উপর আক্রমণ ও রক্তাক্ত জখম করে। ঘটনার ১৫ দিন পর অর্থাৎ ২৫ ফেব্রুয়ারী সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসান মৃত্যু বরণ করেন। ভুক্তভোগী এসব পৃথক বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ, মামলা দায়ের করলেও উল্লেখযোগী কোন ভূমিকা পালন করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট শ্রীমঙ্গল থানা ও বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে পিবিআই, মৌলভীবাজার বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। বিষয়টি একাধিকবার বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় প্রচার ও প্রকাশিত হলে টনক নড়ে সর্বমহলে। সর্বশেষ বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে মৌলভীবাজার সিআইডি দীর্ঘ তথ্য অনুসন্ধান করে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করে, সিআইডি,মৌলভীবাজার বিশেষ পুলিশ সুপার, সুলতান চাকমা স্বাক্ষরিত মৌলভীবাজার সিআইডি‘র পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আব্দুল হাদি বিজ্ঞ আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন।