শার্শার সুমনকে কি ভাবে হত্যা করেছে তা দুই হত্যাকারীর স্বীকার করেছে

ইয়ানূর রহমান : স্বর্ণ ছিনতাই করার পর বহনকারীকে হত্যার অভিযোগে প্রধান
আসামি বেনাপোল পৌর সভার কাউন্সিলর কামাল সহ তিনজনকে আটক করেছে ডিবি
পুলিশ। আটকের পর কি ভাবে স্বর্ণ বহনকারী সুমনকে হত্যা করা হয়েছে তা দেখার জন্য ডিবি পুলিশের একটি টিম ইসরাফিল ও এজাজ মাহমুদকে বেনাপোল নিয়ে এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং কি ভাবে তারা হত্যা করেছে তা জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে। তবে হত্যা কান্ডের মুল নায়ক কামাল হোসেন আটক হয়েছে এরকম গুঞ্জন থাকলেও তাকে বেনাপোলে আনা হয়নি।

ঢাকা থেকে আটককৃত ওই দুই হত্যাকারী আজ সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার সময় পোর্ট থানার সাহাবুদ্দিন গোলদার এর একটি ভবনে সরেজমিনে দেখায় তারা কামাল এর নির্দেশে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে এবং প্লাস দিয়ে নক টেনে টেনে হত্যা করে। এসময় তাদের দেখানো লোহার রড এবং প্লাসটি ৪র্থ তলার ছাদ এর কার্নিস থেকে ডিবি পুলিশ এর কর্মকর্তারা উদ্ধার করে। ইসরাফিল বলে তাদের সাথে হোসেন ও রাব্বি নামের দুই জন সুমনকে লোহার রড ও প্লাস দিয়ে নখ এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গা টেনে টেনে নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে পানি পানি করে চিৎকার করে সুমন। তাকে আমি পানি দিতে গেলে সে পানি খেতে পারে না। খাটের পর পড়ে
তখন মৃত্যু বরন করে। কি ভাবে লাশ নামানো হয়েছে তখন ইসরাফিল বলে, রাব্বি ঘাড়ে করে হোসেন পা ধরে আর আমি গাড়ির কাছে যেয়ে গাড়ির মধ্যে তাকে ধাক্কা দিয়ে ঠেসে ধরি। এসময় সে বলে ভয়ে আমার গাঁ কাপছিল। কামাল কি করছিল ডিবির এস আই মুরাদ হোসেন এর প্রশ্নে ইসরাফিল বলে সেও আমাদের সাথে সুমনকে মারধর করছিল।

জেলা গোয়েন্দা সংস্থার এস আই মুরাদ হোসেন বলেন, চমক দেখতে পাবেন অপেক্ষা করেন।

উল্লেখ্য গত ১১ নভেম্বর শার্শার টেংরালী গ্রামের ওসমান এর ছেলে ওমর ফারুক সুমনকে স্বর্ণ আত্নসাতের অভিযোগে বেনাপোল এনে টর্চার করে হত্যা করা হয়।
তবে গুঞ্জন উঠেছে ওমর ফারুক এর নিকট থেকে কাউন্সিলর কামাল তার দলবল নিয়ে
স্বর্ণ ছিনতাই করে তাকে হত্যা করছে।#