// হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম হত্যা মামলার মোট ৮ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ও পুলিশ। এর মধ্যে ৩ জন আসামিকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আসামিরা হলেন- সামিউল ইসলাম সামু, আনোয়ার হোসেন, জয়নাল মিয়া, মারুফ মিয়া, মঞ্জু মিয়া, মোশারফ হোসেন,মিজানুর রহমান ও মোজাম্মেল হক।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হত্যার ৭ দিনের ব্যবধানে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। মামলা তদন্তকারি কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিলন চ্যাটার্জী জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছেন। আসামি মারুফের পরিকল্পনা মোতাবেক রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে জাহিদুলকে হত্যার কথা স্বীকার করেন তারা। আসামিগণ বিএনপি ও জামায়াত কর্মী বলে জানা গেছে। এর আগে মঙ্গলবার ৩ জন আসামির ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন তদন্তকারি কর্মকর্তা। বুধবার সুন্দরগঞ্জ আমলী আদালতে রিমান্ড শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়ার ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মাহদী হাসান।
রোববার রাত ১১ টার দিকে জাহিদুল এবং কবির মিয়া মোটরসাইকেল করে বামনডাঙ্গা থেকে বাড়ি ফিরছিল। উপজেলার শাখা মারা ব্রিজের নিকট পৌচ্ছা মাত্রই ৬ হতে ৭ জন দুর্বৃত্ত রশি দিয়ে তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে এলোপাথারি চুরিকাঘাত এবং মারপিঠ শুরু করে। এক পর্যায় জাহিদুলের হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়। দুর্বৃত্তরা জাহিদুলের সাথে থাকা কবিরকে মারপিঠ করে মাটিতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। জাহিদুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে জাহিদুল মারা যায়।