// ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি :
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় গবাদিপশুর মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে লাম্পি স্কিন রোগের ভাইরাস। গত মঙ্গলবার এ রোগে আক্রান্ত হয়ে উপজেলার ঝিনাইগাড়ী কলকতি গ্রামে দুটি গরু মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছেন এলাকার খামারি ও কৃষকদের মাঝে।
এদিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে তেমন চিকিৎসা সহায়তা না পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা।
প্রাণিসম্পদ অফিস বলেছে, সামনে এ রোগের সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে। তবে খামারিরা আতঙ্কিত না হয়ে তাদের সুস্থ গরুকে এ রোগ থেকে বাঁচাতে খামার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন পশু চিকিৎসকেরা।
উপজেলার ঝিনাইগাড়ী কলকতি গ্রামের চাঁদ আলী বলেন, তার এক লাখ টাকা মুল্যের একটি গরুর জ¦র ও গায়ে চাকাচাকা ঘা হয়ে মারা গেছে।
একই গ্রামের আব্দুর রউফ বলেন, তার দেড় লাখ টাকা মূল্যের একটি গরুর গায়ের চামড়ায় গোটার মত বের হয়ে কয়েকদিনের মধ্যে মারা যায়।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অনুরপ লক্ষণে আরও কিছু গবাদি পশু আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ফলে খামারীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
পশু চিকিৎসকরা জানায়, প্রথমে আক্রান্ত গরুর জ্বর, ব্যথা ও খাবারে অরুচি হয়। এরপর শরীরের বিভিন্ন অংশে ফুলে যাওয়াসহ মুখ দিয়ে লালা পড়তে শুরু করে। এরপর গরুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে চামড়ায় গুটি গুটি ক্ষত হয়। এতে করে গরুটি দুর্বল হয়ে যায়। এছাড়া মশা-মাছির মাধ্যমে ভাইরাস বিস্তার ঘটে।
রবিবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাম্পি স্কিন রোগ প্রতিরোধে প্রাণি সম্পদ বিভাগ থেকে কোনো প্রকার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেনি বলে জানিয়েছেন এলাকার খামারিরা।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. রুমানা আকতার রোমি বলেন, খামার পরিস্কার ও জীবনিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রাখতে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধে লাম্পি টিকা গ্রয়োগ করা যেতে পারে বলেও তিনি জানান। তবে এই টিকার সংকট রয়েছে এবং সরকারি ভাবে সরবরাহ না থাকায় খামারীদের বাজারে ওষুধের দোকান থেকে সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে।