বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়া পুলিশ সুপার ও সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম পিপিএম বলেছেন, বাংলাদেশের সিংহভাগ জনগোষ্ঠী হচ্ছে আমাদের তরুণ প্রজন্ম যাদের আগামীর বাংলাদেশের নেতৃত্বের জন্যে এখন থেকেই গড়ে তুলতে হবে। মেধাবী ও বুদ্ধিদীপ্ত তরুণরাই হবে আগামীর বাংলাদেশের কর্ণধার। তবে নিত্যদিনের ধরাবাঁধা বৃত্তের ভিতরে থেকে কখনোই ব্যতিক্রম কিছু সম্ভব না তাই সৃজনশীলতা ও মেধার মাধ্যমে জীবনে এগিয়ে যেতে হলে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে তবেই আজকের তরুণ প্রজন্মের সকলে হয়ে উঠবে আগামীর সম্পদ।
বগুড়া ইয়ূথ ফোরামের ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার সকালে শহরের আকাশতারা ওয়ার্ল্ড ভিশন সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত যুব নেতৃবৃন্দদের বার্ষিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুদীপ চক্রবর্ত্তী উপরোক্ত কথাগুলি বলেন। সংগঠনের সভাপতি সাংবাদিক সঞ্জু রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার আরো বলেন, প্রতিটি মানুষের জীবনে একটি স্বপ্ন থাকতে হবে যা পূরণে তাকে তার সর্বোচ্চটুকু ত্যাগ ও পরিশ্রম করতে হবে তবেই সফলতা আসবে। এসময় তিনি নিরাপদ বগুড়া গড়তে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন এবং দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে তরুণ প্রজন্মের কেউ যেন বিপথগামী না হয় সেজন্যে সদা সচেতন থাকার পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত ডিআইজি সুদীপ বগুড়া ইয়ূথ ফোরামের দীর্ঘযাত্রায় সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনয়নে সম্পাদিত নানা ব্যতিক্রমী কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং সংগঠনটিকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিতে শুভ কামনা জানান।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শাজাহানপুর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রভাষক সোহরাব হোসেন ছান্নু, ব্যবসায়ী নেতা ও বগুড়া ইয়ূথ ফোরামের উপদেষ্টা পরিমল প্রসাদ রাজ, ওয়ার্ল্ড ভিশন নীলফামারীর এসিও লোটাস চিসিম ও সংস্থার পিলসি নর্দান রিজিওনের ফিল্ড স্পন্সর ও চাইল্ড প্রটেকশন কো-অর্ডিনেটর রিচার্ড অজয় সরকার। আলোচনা সভা শেষে সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে বগুড়া ইয়ূথ ফোরামের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কর্তন করেন অতিথিবৃন্দ। এছাড়াও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যুব নেতৃবৃন্দদের প্রকাশিত স্বপ্নের সিঁড়ি নামক দেয়ালিকা প্রকাশ করা হয় এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নেতৃবৃন্দ।
দিনব্যাপী আয়োজনে ইয়ূথ লিডারদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন হাবিবা নাসরিন, পুষ্পা খাতুন, রিমন প্রামাণিক, আল-আমিন মন্ডল রনি, আহসান হাবিব, শফিকুল ইসলাম সীমান্ত, নূরজাহান বন্যা, মেহেদী হাসান মিম, হাসান আহম্মেদ, তোহা মন্ডল, মেহরাব হোসেন তানভীর, আশিক, তন্ময় সিয়াম, রহিমা খাতুন, জহুরুল ইসলামসহ বিভিন্ন এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রায় অর্ধশতাধিক যুব নেতৃবৃন্দ।