আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘিতে আওয়ামীলীগ অফিসের সামনে ককটেল বিস্ফোরন ও পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা। গত বুধবার (৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টায় আদমদীঘি উপজেলার পূর্ব ঢাকারোড এলাকায় আওয়ামীলীগ অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ওই অফিসের ভিতরে থাকা আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও ছাতিয়ানগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হক আবু ও সান্তাহার ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এরশাদুল হক টুলু অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন। খবর পেয়ে রাতেই ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। এবং ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি তাজা ককটেল, বিষ্ফোরিত ককটেলের কাঁচের টুকরা ও ভাঙ্গা চেয়ার জব্দ করেন। এঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক রুহুল আমিন নামের এক জনকে গ্রেফতার করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, তৃতীয় দফা অবরোধের ১ম দিন গত বুধবার রাত সাড়ে ১১ টায় আদমদীঘির পুর্ব ঢাকারোড আওয়ামীলীগ অফিসে আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও ছাতিয়ানগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হক আবু ও সান্তাহার ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এরশাদুল হক টুলুসহ নেতাকর্মীরা অবস্থান করছিলেন। এসময় ৩/৪টি মোটরসাইকেল যোগে ৮/৯ জনের দুর্বৃত্ত এসে অফিস লক্ষ করে পরপর ২ টি ককটেল ও পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করে। এসময় পেট্রল বোমায় চারিদিকে আগুন ছড়িয়ে গেরে অল্পের জন্য রক্ষা পায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও ছাতিয়ানগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হক আবু ও সান্তাহার ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এরশাদুল হক টুলুসহ কয়েকজন নেতা কর্মীরা। ককটেল বিস্ফোরণে এলাকায় আতংক ছড়িয়ে অফিসের সামনে রাখা ৪/৫টি চেয়ার ভাংচুর ও রাস্তায় টায়ারে আগুন জালিয়ে ত্রাসের সৃষ্টি করে দুর্বত্তরা সান্তাহারের অভিমুখে মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায়। রাতেই আদমদীঘি থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও ছাতিয়ানগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হক আবু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের লোকেরা আদমদীঘি উপজেলায় তাদের কর্মসুচী সফল করতে না পেরে রাতের অন্ধকারে ককটেল ও পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করে এলাকায় আতংক ছড়ায়।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি তাজা ককটেল, বিষ্ফোরিত ককটেলের কাঁচের টুকরা ও কয়েকটি ভাংচুর করা চেয়ার জব্দ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ৫৯ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।