মৌলভীবাজার প্রতিনিধি ঃ কমলগঞ্জে কালেঙ্গায় পাহাড় ও টিলা কাটার প্রতিবাদ করায় প্রতিপক্ষের লোকজনদের প্রাণে হত্যার হুমকি ও মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগে আজ ৩১ অক্টোবর মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী আব্দাল মিয়া। প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী লিখিত বক্তব্য জানান- কমলগঞ্জ উপজেলার ১নং রহিমপুর ইউনিয়নের কালেঙ্গা গ্রামের মৃতঃ আঃ রহিম এর পুত্র সরকারী চাকুরীজীবি হাবিল মিয়া, তার ভাই রুহুল আমিন ও মৃতঃ মুসলিম খাঁন এর পুত্র ছাব্বির আহমদগংরা স্থানীয় কালেঙ্গা বাজারের পাশে সরকারী ভূমি, পাহাড় ও টিলা কেটে সমান্তরাল করে খন্ড খন্ড দোকান কোটা নির্মাণ করে তা অধিক মূল্যের বিনিময়ে বিক্রয় করে আসছেন। প্রতিবাদ করায় বসত-ঘর থেকে উচ্ছেদ ও প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করা হচ্ছে। নৈতিক সহযোগীতা, রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা প্রাপ্তি, জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও জণসাধারণকে অবহিত করা এবং সকল প্রকার সহযোগীতা কামনা করে তিনি আরো বলেন- উক্ত পাহাড় ও টিলা কাটার বিষয়টি মাননীয় জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মহোদয়কে লিখিত ভাবে অবগত করার কারণে রুহুল আমিনগংরা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান এবং অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন। প্রত্যাহার না করার কারণে আমার ও আমার পরিবারের লোকজনদের উপর একাধিক মামলা দায়ের করে হয়রানী করে আসছেন। সর্বশেষ আমাকে জিম্মি করে আমার স্বাক্ষর আদায় করেন। এবং বেশি বাড়া-বাড়ি করলে প্রাণে হত্যা করার হুমকি দেন। আমি অর্থহীন লোক। প্রভাবশালী রুহুল আমিনগংদের সাথে আমাদের পূর্ব বিরোধ চলমান। সেই জের ধরে একের পর এক হয়রানী-রক্তাক্ত হামলা করে আসছে। তাদের মিথ্যা মামলার কারণে আমার পুত্র জুবায়েল আহমেদ বর্তমানে কারাগারে আটক রয়েছেন। অন্যান্য আসামীগণ জামিনে আছি। আমাকে ভিটা-মাটি থেকে উচ্ছেদ করার কারণে বর্তমানে আমরা কালেঙ্গা ছড়ার পাড়ে একটি কুড়ে ঘরে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন নিয়ে বসবাস করছি। সর্বশেষ প্রভাবশালী রুহুল আমিনগংদের এসব বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে মাননীয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরারবর গত ৩০ অক্টোবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ইমন মিয়া, সাহিদ মিয়া, মনিরুজ্জামান বাঁধন, রুবেনা বেগম, কুসুম বেগম ও ছালেহা বেগম প্রমুখ।