// সঞ্জু রায়, বগুড়া:
বগুড়ায় ১২ বছর আগে করা হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামীকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র্যাব-১২। শনিবার দিবাগত রাত ১১ টার দিকে কালিয়াকৈর থানার মির্জাপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তি হলেন মো. জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়া। বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জের শোলাগাড়ী এলাকায়।
র্যাব জানায়, ২০১১ সালে জিয়া তার চার মাসের অন্ত্বঃসত্ত্বা স্ত্রীক মিনা আক্তার লিপিকে (২১) যৌতুকের দাবিতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে তার বাবা (মেয়ের বাবা) মো. লতিফুল বারী ওরফে তবলু বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। বিচার শেষে আদালত ২০২৩ সালের আগস্টে জিয়ার মৃত্যুদণ্ড দেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র্যাব জানায়, ওই মামলায় জিয়া ৩ বছর ৪ মাস জেল খেটে জামিনে বের হন। এরপর ভারতে চলে যান। সেখানে ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়ে রেশন, আধারকার্ড, আইকার্ড ও অন্যান্য ভারতীয় নাগরিকের সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে থাকেন। আট মাস পর জিয়া ভারতে তামিল ভাষা রপ্ত করেন। এরপর তিনি ভারত থেকে পাসপোর্ট ও ভিসা সংগ্রহ করে দুবাই (সংযুক্ত আরব আমিরাত) চলে যান। দুবাই থেকে ছয় মাস পর বাংলাদেশে ফিরে এসে গাজীপুর সূত্রাপুর এলাকায় আবার বিয়ে করেন। বিয়ের পর তিনি আত্মগোপন করে ছদ্মবেশে সংসার করতে থাকেন। জিয়া গ্রেপ্তার এড়াতে সবার অজান্তে সূত্রাপুরে কসমেটিকস্ ব্যবসার পাশাপাশি বিভিন্ন গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। র্যাব আরও জানায়, এর মধ্যে দালালের মাধ্যমে মালয়েশিয়া যাওয়ার পাসপোর্ট প্রস্তত করেন জিয়া। রোববার তার মালয়েশিয়া যাওয়ার বিমানের ফ্লাইট ছিল। কিন্তু র্যাবের অভিযানে ধরা পড়েন তিনি। জানা যায়,
জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর তিনি তার স্থানীয় আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।
এ প্রসঙ্গে বগুড়া র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন বলেন, জিয়ার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শিবগঞ্জ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। র্যাবের এমন অভিযান চলমান থাকবে।