// ওসমান গনি (বেড়া) পাবনা
স্কুল মিল্ক কর্মসূচির আওতায় পাবনার বেড়া উপজেলায় ২১০ শিশু শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন পাচ্ছে দুধ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সরকারের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের ( এলডিডিপি) আওতায় স্কুল মিল্ক কর্মসূচি দেশের ৩ শ’ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্রমান্বয়ে চালু করেছে। স্কুল মিল্ক কর্মসূচির আওতায় পাবনার বেড়া উপজেলা মাসুমদিয়া ইউনিয়নের খানেবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত ১৮ জুলাই থেকে ওই স্কুলে প্রাক- প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ২১০ শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্কুল খোলা থাকার দিনগুলোতে টিফিনের সময় স্বাস্থ্যসম্মত প্যাকেটে আধুনিক পদ্ধতিতে সংরক্ষিত শতভাগ তরল নিরাপদ দুধ বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বেড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা,মো,মিজানুর রহমান বলেন, বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার প্রাণিজ পুষ্টির মাধ্যমে মেধাবী জাতি গঠনে বিশেষ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে স্কুল মিল্ক কর্মসূচির আওতায় সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের ( এলডিডিপি) আওতায় দেশের ৬১ টি জেলায় ৩ শ’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিদিন বিনামূল্যে দুধ বিতরণে এ পাইলট কর্মসূচি ক্রমান্বয়ে চালু করছে। তনমধ্যে পাবনার বেড়া উপজেলার মাসুমদিয়া ইউনিয়নের খানেবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একটি। এ বিষয়ে উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো,আব্দুর রহিম সেখ জানান, আমার বিদ্যালয়ে গত ১৮ জুলাই থেকে স্কুল মিল্ক ফিডিং কর্মসূচি শুরু হয়েছে। স্কুল মিল্ক ফিডিং চালুর পূর্বে স্কুলে ছাত্র – ছাত্রীর উপস্থিতি তুলনামূলক ভাবে কম ছিল। আমি অনেক চেষ্টা করেও উপস্থিতি বৃদ্ধির ব্যপারে আশানুরূপ ফল পাইনি। কিন্তু এই কর্মসূচি চালু হওয়ায় ছাত্র- ছাত্রী উপস্থিতি ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে দুধের পুষ্টিমান অত্যন্ত ভালো হওয়ায় ছাত্র – ছাত্রীর মেধা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা খুবই খুশি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি এই স্কুল মিল্ক ফিডিং কর্মসূচি চালু থাকলে অবশ্যই শিক্ষার মান উন্নয়ন হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেছেন।
বেড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো, কফিল উদ্দিন সরকার বলেন, পাবনা জেলায় তিনটি উপজেলার তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই স্কুল মিল্ক কর্মসূচি চালু হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার মাসুমদিয়া ইউনিয়নের খানেবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। প্রতিদিন ছুটির দিন বাদে ২১০ জন ছাত্র – ছাত্রী ২৫০ মিলি করে প্যাকেট জাতকৃত তরল দুধ বিনামূল্যে পান করছে বলে তিনি জানান।