// বিশেষ প্রতিনিধিঃ পাবনা সদর উপজেলা কৃষকলীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার ১৪ অক্টোবর সকাল ১১টায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পাবনা জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আসম আব্দুর রহিম পাকন
প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
পাকন কৃষিক্ষেত্রে এই সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন তুলে ধরে বলেন দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ কৃষক। আপনারা শেখ হাসিনার স্নেহাস্পদ। সারে ভর্তুকি পাচ্ছেন। সরকার ১২৫ টাকায় সার কিনে এনে আপনাদের কাছে মাত্র ২৫ টাকায় বিক্রি করছে। প্রান্তিক কৃষকদের প্রণোদনা দিচ্ছে। আজ বিভিন্ন জায়গায় বেসরকারি পাটের কারখানা গড়ে উঠেছে। পাটের একটি ভালো বাজারও আছে।
অথচ বিগত সরকারের আমলে পাটকে বিলুপ্ত করে ফেলেছিল তারা। আগামী নির্বাচনে এই সরকার যদি ক্ষমতায় আসতে না পারে। তাহলে সেটা কৃষকদেরই পরাজয় হবে। আর চ্যালেঞ্জ করব কাকে! যারা বিদেশী প্রভুদের নিয়ে এসে আমাদের উন্নয়নশীল সরকারের গণতন্ত্রকে বাধা সৃষ্টি করতে চায়। তাদেরকে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবি না। ১৯৭১ সালে ওই আমেরিকা সপ্তম নৌবহর নিয়ে এসেছিল। আমরা তাদেরকে ফেরত যেতে বাধ্য করেছি। দুই হাতে অস্ত্র তুলে নিয়ে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছি।
তিনি কৃষকদেরকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা আখ্যা দিয়ে বলেন আমরা যুদ্ধের সময় কৃষকের কাছে ঠাঁই পেয়েছি, খাবার পেয়েছি তাই দেশের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কৃষকরাই।
সদর উপজেলা কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মঞ্জুর রহমান খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাযহারুল ইসলাম মুন্নুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা কৃষকলীগের সহ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মেজবাহুর রহমান রোজ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নব গোপাল চক্রবর্তী, সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম আলী, শাহাদাত আলী মুন্সি ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিককে বিজয়ী করার উদ্দেশ্যে সদর উপজেলা কৃষকলীগের সকল ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে সাংগঠনিক রিপোর্ট সংগ্রহ করেন উপজেলা কৃষকলীগের নেতারা।
যাতে করে আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করে আওয়ামী লীগ সরকারকে আবার ক্ষমতায় আনতে নেতাকর্মীরা সাংগঠনিকভাবে নিরলস পরিশ্রম করতে পারেন।
বিশেষ বর্ধিত সভায় আরো বক্তব্য দেন জেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন মুন্সী, উপজেলা কৃষকলীগের সহসভাপতি আব্দুল লতিফ খান, যুগ্ন সম্পাদক ডা. জহুরুল ইসলাম জহুর, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম খান ডাব্লু, উপ দপ্তর সম্পাদক শামসুল আলম সামসুল, মালিগাছা ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সদর থানা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আতিক বিশ্বাস, দাপুনিয় ইউনিয়ন সভাপতি আবু বক্কার সিদ্দিক , দাপুনিয় ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান খুদু মল্লিক, চরতারাপুর কৃষকলীগের নেতা হান্নান, সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক বাবু খাঁ, মালঞ্চী ইউনিয়ন সভাপতি খলিল শেখ, আতাইকুলা ইউনিয়নের সভাপতি ফয়েজ, হেমায়েতপুর ৪,৫,৬ সাধারণ সম্পাদক সেলিম হোসেন, গয়েশপুর ইউনিয়নের সভাপতি হারুনর রশীদ হারুন, হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ১,২,৩ সাধারণ সম্পাদক রাজু রহমান, সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, কার্যনির্বাহী সদস্য রাজ্জাক সর্দার প্রমুখ।
সভা শেষে আগামী ৩ নভেম্বর সদর উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাজহারুল ইসলাম মুন্নু সকল নেতৃবৃন্দকে জেল হত্যা দিবস পালনের অনুরোধ জানান।