কালিহাতীতে বাল্কহেড দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন! হুমকিতে বসতবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মসজিদ

// কামরুল হাসান টাংগাইল পতিনিধিঃ।  টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভাধীন এলেংজানী নদীতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ বাল্ক হেড দিয়ে বালু উত্তোলন চলছে। ফলে হুমকিতে পড়েছে স্কুল, মসজিদ ও বসতবাড়ি। এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ৪ লেন এর কাজ চলমান রয়েছে সেখানেই মাটির এমনিতেই স্বল্পতা রয়েছে তারপরেও এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি লাখ লাখ ফিট মাটির স্তূপ করে রেখে বিক্রির পাঁয়তারা করছে।

জানাগেছে, কালিহাতী উপজেলার ধলা টেংগর প্রকাশ খালেপাড়া গ্রামের অসিম উদ্দিন, আব্দুস সামাদ, নজরুল, এস কে আলম, আলমগীর হোসেন, মাহফুজুর রহমান রুবেল, এলেংজানী নদী থেকে বাল্ক হেট বসিয়ে অবাধে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন, এসব এলাকায় বাল্ক হেড দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে নদী তীরবর্তী বসতবাড়ি, পাথাইলকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাথাইলকান্দি গ্রামের মসজিদটি বর্ষা মৌসুমে ধ্বসে নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বালু খেকোরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় নদীর দু’পাড়ে বসবাসরত দরিদ্র পরিবারগুলো তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। স্থানীয়রা জানায়, প্রভাবশালী অসিম উদ্দিন দীর্ঘদিন যাবৎ নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন পূর্বক স্তুপ করে রাখা হয়েছে। ড্রেজার মেশিন স্থাপন করে দেদারছে এ অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নদী তীরবর্তী এলাকার কয়েক ব্যক্তি জানায়, ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে তাদের বসতবাড়িগুলো বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাদের অভিযোগ, সকল বালু ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন ও এলেঙ্গা পৌর ভূমি অফিসকে ম্যানেজ করে এ অবৈধ ড্রেজার দীর্ঘদিন যাবৎ চালাচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, অবৈধ বাল্ক হেড মেশিন বসিয়ে পাইপ লাগিয়ে বালু উত্তোলন করছে । অথচ, ২০১০ সালের বালু মহাল আইনে বলা হয়েছে, ‘বিপনণের উদ্দেশে কোন উন্মুক্ত স্থানে ও নদীর তলদেশ থেকে বালু-মাটি উত্তোলন করা যাবে না’। কিন্তু এ নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে দিনের পর দিন অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে বালু ব্যবসায়ীরা কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এলাকাবাসী আরো অভিযোগ করে, অবৈধ বালু উত্তোলনের ব্যবসা বন্ধের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে তারা বার বার জানালেও তা বন্ধ হয়নি। শুধুমাত্র ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হলে ওই সময় বা দু’-একদিন বালু উত্তোলন বন্ধ রাখা হয় এবং সুযোগ বুঝে তা পুনরায় চালু করা হয়।স্থানীয় এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মহাসড়কে উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে ওই জায়গাতেই বালির স্বল্পতা রয়েছে এভাবে যদি বালু উত্তোলন করে বাইরে বিক্রি করা হয় নদীর পাড়ের ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাই প্রশাসনকে বলবো উত্তোলনকৃত বালু জব্দ করে ওকসনের মাধ্যমে বিক্রি করার দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহাদাত হুসেইন বলেন, এর আগেও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। তারপরেও যদি বালু উত্তোলন করে থাকে বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।