শার্শায় আয়াকে উক্তক্তের কারনে মাদ্রাসা শিক্ষককে বরখাস্ত, জামায়াত নেতা সিরাজের হুমকি

// ইয়ানূর রহমান : শার্শার পল্লীতে মাদ্রাসার আয়া’কে উক্তক্তের ঘটনায় এক শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ।
শিক্ষককে বরখাস্তের ঘটনায় জামায়াত নেতার সিরাজরে হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে আয়া’র পরিবার।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, শার্শার লাউতাড়া রাবেতাতুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার এবতেদায়ি মৌলভী শিক্ষক আলিমুর রহমান একই প্রতিষ্ঠানের মহিলা আয়াকে প্রায়ই শরিরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে উত্তক্ত করে আসছিল। তিনি বারবার নিষেধ করা সত্ব্ধেসঢ়;ও লম্পট শিক্ষক বাধা মানেনি। সম্প্রতি আবারো একইভাবে উত্তক্ত করলে তিনি প্রতিবাদ করে ওঠে। এ সময় শিক্ষক আলিমুর তার মুখ চেপে ধরে।
এ সময় আয়ার কন্য সন্তান বিষয়টি দেখে ফেললে শিক্ষক সেখান থেকে সরে পড়ে।
গত ৩ সেপ্টেম্বর ঘটনাটি প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি বরাবর সু-বিচার দাবি করে উক্ত আয়া লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরে তদন্ত কমিটির সামনে আয়া সহ তার ৫ বছরের কন্যা সন্তান ঘটনার সত্যতা তুলে ধরেন। ফলে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ উক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
এ ঘটনায় লাওতাড়া গ্রামের জামায়াত নেতা সাবেক মেম্বর সিরাজুল ইসলাম সিরাজ গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আয়ার পিতা ইমাম লোকমান হোসেনকে হত্যার হুমকি দেয়। অভিযোগ তুলে না নিলে উক্ত বিধবা আয়াকে গ্রাম ছাড়া করার হুমকিও দেন।
এ ব্যাপারে উক্ত আয়া’র কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাদের প্রতিবেদককে পূর্বের ঘটনা সহ ঘটনার সত্যতা সিকার করেন।
শিক্ষক আলিমুর রহমান এ বিষয়ে জানান, আমাকে প্রতিষ্ঠান থেকে সরানোর জন্য একটি মহল ষঢ়যন্ত্র করে চলেছে। এ ঘটনাও ষঢ়যন্ত্রের একটি অংশ।
প্রতিষ্ঠানটির একাধিক শিক্ষক জানান, উক্ত শিক্ষক আলিমুর রহমান এ ধরনের কর্মকান্ড সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। তার উক্ত গ্রামে বাড়ি হওয়ায় অধিকাংশ শিক্ষককে মারধর সহ হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। তার দাপটের কারনে সকল শিক্ষক কর্মচারি অসহায় হয়ে পড়েছে। উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটির সুপার’কেও মারধরের অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আকরাম আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টির সত্যতা মেলায় উক্ত শিক্ষককে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত করলে আপনার্ধাসঢ়;ও জানতে পারবেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসান হাফিজুরের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান। #