স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে দমন করতে হবে : লতিফ সিদ্দিকী

// কামরুল হাসান,  টাঙ্গাইল পতিনিধি: টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার জোকারচরে মঙ্গলবার(১৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে চা-চক্রে অংশ নিয়ে সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেছেন, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে কোনভাবেই বাড়তে দেওয়া যাবেনা। সর্বশক্তি প্রয়োগ করে তাদের দমন করতে হবে। বিএনপি আগামী অক্টোবর মাসে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের উৎখাত করার ঘোষণা দিয়েছে- এটা স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির উত্থানের সুর। এটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া হবেনা।
এর আগে টাঙ্গাইলে সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর গাড়ি বহরে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ উঠে তার ছোট ভাই মুরাদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে। এ সময় দুই ভাইয়ের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এছাড়া একটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে।

মঙ্গলবার(১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল-সিলিমপুর সড়কের দশকিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে জেলা জুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
জানাগেছে, মঙ্গলবার সকালে ১৯টি গাড়ির বহরে অনুসারী সহ সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী আটিয়া মাজার জিয়ারত করতে যাচ্ছিলেন। লতিফ সিদ্দিকীর গাড়ি বহরটি পাথরাইল-সিলিমপুর সড়কের দশকিয়া নামক স্থানে পৌঁছলে তার ছোট ভাই মুরাদ সিদ্দিকী বাঁধা দেন। এছাড়া  লতিফ সিদ্দিকীর কর্মী-সমর্থকদের মারধর করেন মুরাদ সিদ্দিকী। লতিফ সিদ্দিকী গাড়ি থেকে নেমে সামনে এগিয়ে যেতে থাকলে মুরাদ সিদ্দিকী স্থান ত্যাগ করে। মুরাদ সিদ্দিকী চলে যাওয়ার সময় তাদের দুই ভাইয়ের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে মুরাদ সিদ্দিকীর বহরে থাকা পাঁচটি গাড়ির মধ্যে একটি মাইক্রোবাসের সামনের গ্লাস ভাঙা হয়। মুরাদ সিদ্দিকী অনুসারীদের নিয়ে তার টাঙ্গাইল শহরের বাসায় চলে যান। পরবর্তীতের লতিফ সিদ্দিকী আতিয়া মাজার জিয়ারত করে কালিহাতীর এলেঙ্গায় চলে যান।
অভিযোগ অস্বীকার করে মুরাদ সিদ্দিকী জানান, তিনি ভাই কাদের সিদ্দিকী ও লতিফ সিদ্দিকীর সঙ্গে মাজার জিয়ারত করতে গিয়েছিলেন। পরে মাজার জিয়ারত শেষে বাসায় চলে গিয়েছেন। ওখানে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, বিএনপি নেতারা ঘোষণা দিয়েছেন অক্টোবর মাসে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের উৎখাত করবে। আমার বিবেক থেকে এটা প্রতিহত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি তো কোন কালেই সন্ত্রাস করি নাই। এটা প্রতিহত করতে হলে জনগনের কাছে যেতে হবে। সে জন্য কালিহাতীর জোকারচর ও গোহালিয়াবাড়ি এলাকায় এসেছি। কোন সভা-সমাবেশ না করে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে এসেছি। নেতাকর্মীদের বলছি- নিজেরা ঐক্যবদ্ধ হও। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ও সন্ত্রাসীদের মোকাবেলা করতে হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনের সিদ্ধান্ত ১৪ দলের নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিবেন।

মুরাদ সিদ্দিকীর বিষয়ে সাবেক মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে আমার ৪-৫ জন কর্মীকে সে মারধর করছে বলে তারা (অনুসারীরা) এ বিষয়ে নালিশ করেছে। মুরাদ সিদ্দিকী বিভিন্ন জনকে মোবাইলে হুমকি দিচ্ছে, সেটি আমি জানি। এলেঙ্গার মেয়রকে সে ভয় দেখাচ্ছে। আমি তাকে কখনও রাজনৈতিক নেতা মনে করি নাই। সে ঠিকাদার ও সন্ত্রাসী। এর বাইরে তাকে নিয়ে আমি কোন চিন্তা করি নাই। ছাত্র রাজনীতি ও আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিল আজাদ সিদ্দিকী। আমার জানামতে মুরাদ সিদ্দিকী কোনদিন আওয়ামী লীগ করে নাই, ছাত্রলীগও করে নাই। তাই তাকে নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যথা নাই।

এ বিষয়ে দেলদুয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাছির উদ্দিন মৃধা জানান, ঘটনাস্থলে তিনি নিজে ছিলেন। হামলা বা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। তবে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে।