// নাটোর প্রতিনিধি
বাগুড়ায় তারুণ্যের রোডমার্চ উপলক্ষে রোববার সকাল থেকেই নাটোরের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নেয় সরকার দলের সমর্থকরা। এসময় দিঘাপতিয়া এলাকায় নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস সহ বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে তল্লাসী চালায় তারা। সেখানে একটি প্রাইভেটকার ভাংচুরের অভিযোগ করা হয়।
এছাড়া শহরের তেবাড়িয়া বাইপাস সড়কে ও সদর উপজেলার সৈয়দ মোড়ে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে দুটি ব্যক্তিগত গাড়ি ভাংচুর করা হয়।
এদিকে দুপুরে সদর উপজেলার ডালসড়ক এলাকায় একটি মাইক্রোবাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে নাটোর ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়। এই ঘটনায় আহত হয় বাগাতিপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সোহেল রানা। তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মাইক্রোবাস মালিক রফিকুল ইসলাম বলেন, নওগাঁ কনে দেখার কথা বলে তার মাইক্রটি ভাড়া করা হয়। বিএনপির কর্মসূচীর গাড়ী মনে করে রোববার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের ডাল সড়কে মাইক্রোটি অবরোধ করে আগুন দেয় আওয়ামীলীগের কমিরা । পরে ফয়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে ঘটনার জন্য আওয়ামীলীগের কর্মিদের দায়ী করে ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন, নাটোর জেলা বিএনপির আহবায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু। তিনি দাবি করেন বাগাতিপাড়া উপজেলার দয়রামপুর থেকে লং মার্চে যোগ দিতে বিএনপির কর্মীরা বগুড়া যাচ্ছিলো। আওয়ামীলীগের কর্মীরা ওই মাইক্রোবাসে আগুন দিয়েছে। এ সময় বিএনপি নেতা কর্মিদের ওপর হামলা ও মারপিট করার অভিযোগ করেছে জেলা বিএনপি। আহতদের বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। আজ রবিবার সকালে সদর উপজেলার ডাল সড়ক, তেবারিয়া ও সৈয়দ মোড় নেতা কর্মিদের পিটিয়ে জখম করা হয়েছে।এলাকায় ঘটনাগুলো ঘটে।
এব্যপারে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান জানান, নাটোরে যেখানে বিএনপির কোন কর্মসূচী নাই। তাদের কর্মসূচী বগুড়া-রাজশাহী, এখানে আওয়ামীলীগের লোকজন এধরনের কর্মকান্ডের কোন সুযোগ নাই। তবে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখলে পরিষ্কার বোঝা যাবে। গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরণ নাকি তারা নিজেরাই আগুন দিয়েছে।
নাটোর সদর থানার ওসি নাছিম আহমেদ জানান, কারা আগুন দিয়েছে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছেনা। তবে বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখছেন।