মৌলভীবাজারে ঠিকাদার সিরাজুল ইসলাম খুন ঃ ৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার-২

// মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ মৌলভীবাজারে “বকেয়া পাওনা অন্তোষে নির্মাণ শ্রমিক কর্তৃক রাজনগর উপজেলার ৮নং মনসুর নগর ইউনিয়নের মালিকোনা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম হত্যাকান্ড এর সহিত জড়িত আব্দুল মুমিন (২৩) ও জাহির মিয়া (২১) নির্মাণ শ্রমিককে ৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে মৌলভীবাজার মডেল থানার পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- রাজনগর উপজেলার ৭নং কামারচাক ইউনিয়নের শ্যামেরকোনা ( নোয়াগাঁও) গ্রামের আব্দুল্লাহ এর পুত্র আব্দুল মুমিন (২৩) ও একই গ্রামের মানিক মিয়ার পুত্র জাহির মিয়া (২১)। তাদের আজ ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে- গত ১৫ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজার, সদর মডেল থানাধীন ১০নং নাজিরাবাদ ইউপিস্থ ছিকরাইল সাকিনের জনৈক মাহিন আহমদ এর বসত বাড়িতে ঠিকাদার সিরাজুল ইসলাম এর মৃতদেহ দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে সংবাদ দেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইয়া মৃত দেহ উদ্ধার পূর্বক উক্ত বিষয়ে ব্যাপক তদন্ত শুরু করে। নতদন্তকালে জানা যায় যে, ঠিকাদার সিরাজুল ইসলাম রাজমিস্ত্রীর ঠিকাদার এর কাজ করেন। গত ১ বছর যাবত অত্র থানাধীন ১০নং নাজিরাবাদ ইউপির ছিকরাইল সাকিনের জনৈক মাহিন আহমদ এর বসত বাড়িতে পাকা বিল্ডিং এর বসত ঘর নির্মাণ কাজ শ্রমিকদের মাধ্যমে করিয়া আসিতেছেন। গত দেড় মাস পূর্বে নির্মান কাজের জন্য শ্রমিক আব্দুল মুমিন ও জাহির মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে নিয়োগ করেন। বেশ কয়েকদিন যাবত তাহার নিয়োগকৃত শ্রমিক আব্দুল মুমিন ও জাহির মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন কাজের মজুরী নিয়া সিরাজুল ইসলাম এর সাথে কথা কাটাকাটি হয়। তারই সূত্রধরে গত ১৪ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত অর্থাৎ ১৫/০৯/২০২৩খ্রিঃ রাত অনুমান ১২.১০ ঘটিকা হইতে বিকাল অনুমান ০৩.০০ ঘটিকার মধ্যবর্তী যেকোন সময় শ্রমিক আব্দুল মুমিন ও জাহির মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন মিলে সিরাজুল ইসলাম এর মাথায়, ডান গালে, ডান চুখের ভ্রুর উপর, উভয় ঠোঁটের ডান পাশে, থুথনীর ডান পাশে এবং নাকের অগ্রভাগে কাটা জখম করিয়া হত্যা করে। এ ঘটনায় মৃত সিরাজুল ইসলাম এর ছোট ভাই নুরুল ইসলাম (১৯) উল্লেখিত ঘটনার বিষয়ে মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মোঃ মনজুর রহমান পিপিএম-বার এর নিদের্শনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আজমল হোসেন, সদর সার্কেল, মৌলভীবাজার প্রত্যক্ষ তত্ত্ববধানে ও অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী এবং পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ ইয়াছিন রাছেল এর নেতৃত্বে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতারের জন্য এসআই/ আবুল কালাম চৌধুরী সহ একটি অভিযানিক টিম গঠন পূর্বক বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সূত্রে রাজনগর থানা এলাকার শ্যামেরকোনা এলাকায় পুলিশি অভিযান পরিচালনা করিয়া ঘটনার সহিত জড়িত আব্দুল মুমিন (২৩) ও জাহির মিয়া (২১)-কে গ্রেফতার করেন। পরবর্তীতে তাদের দেওয়া তথ্য মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা, লোহার রড, ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ও টাকা উদ্ধার করা হয়।