শৈশব

// এনামুল হক টগর //

বয়সের ভারে ক্লান্ত শরীর আমার তবু প্রাণের উৎসগুলো প্রতিদিন কাঁদে।

শৈশবের হলুদ সোনালী মাঠ কি যে মধুর স্মৃতি বহমান নদী।

ফেলে আসা মমতার ইছামতী আত্মায় যুবক হয়ে ওঠে কুল কুল ধ্বনি চঞ্চল!

জাগ্ৰত ফসলের খামারে সবুজ শস্য লাল গোলাপী ফুল,

আর বিচিত্র রঙের ঘুড়ি উড়ে ছেলেবেলার ঊষাকাল!

বিমগ্ন বিকেলে অরণ্য বাগিচায় ভ্রমর মধু খোঁজে ভালোবাসায় গুন গুন।

বৈচিত্র্যের সেই দিন,হেমন্তের সোনালী আকাশ,বসন্তে পুষ্প প্রেম নন্দন।

বর্ষার জোয়ারে নদী মাঠ ঘাট ভেসে যায় বিপুল বৃষ্টির ঝম ঝম ক্রন্দন।

রেলগাড়ির হুইসল স্টেশনে অপেক্ষা মেন্টাল কোয়ার্টারে বসবাস একাত্তর যুদ্ধ স্বাধীনতার রক্ত দহন।

সৌন্দর্য ও আধুনিক কারুকার্য দর্শনে হৃদয় দীপ্ত হয়ে ওঠে বন্ধুর গান ছেলেবেলা প্রশান্ত।

শিমুল পলাশ বৃক্ষের বং বেরং বাহারী ফুল আনন্দে আনন্দে নাচে কি যে শান্তি।

কিশোরবেলার স্কুল,গোল্লাছুট,বল খেলা,ছি-বুড়ি কতো যে কি জীবন উপভোগ।

ভোরের বাতাসে ঝরা বকুল কুড়ানো কি মধুর দিন ডাকাডাকি কথা বলা আবেগ!

বেলা শেষে গোধূলির অনুভূতি পাখিগুলোর কোলাহল কিচিরমিচির আনন্দ বিরহ রসিক।

শত কোটি চোখের অশ্রু ঝরিয়ে ফিরিয়ে আনতে চাই সেই প্রচীন শৈশব!

নিজের চোখের পানিতে নিজেই সাঁতার কাটি কি যে আকতি মিনতি অতীত বৈভব।

পুরাতন সময়গুলো এখনো বুকের গভীরে জেগে ওঠে নতুন শৈশবের চেতনায়।

আমি ফিরে যেতে চাই,আমি ফিরে যেতে চাই,আলোকিত অতীত ইতিহাসে বিস্ময়!

পুরনো খোলস ছিঁড়ে আবার নতুন পোষাক পরিধান করে সেই শৈশবে জীবন পরিচয়।

১২/০৯/২০২৩