// নাটোর প্রতিনিধি
নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনের ৫বার নির্বাচিত এমপি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস মারা যাওয়ায় আসনটি শুন্য ঘোষণার পাশাপাশি আগামী ১১ অক্টোবর এখানে উপ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এই আসনের সাধারণ ভোটার ও আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতারা তাই এখানে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্রয়াত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপির মেয়ে অ্যাডভোকেট কোহেলি কুদ্দুস মুক্তিকে দেখতে চান। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার সাথে সাথে আসনটিতে জোরে সোরে শুরু হয়েছে কে পাবেন উপ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন। শেখ মুজিব এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রী অর্র্জনকারী কোহেলি কুদ্দুস মুক্তি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।
তিনি আওয়ামী যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পিতা আব্দুল কুদ্দুস যে ৫বার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন প্রতিবারই মুক্তি পিতার সাথে সাথে থেকে শুধু নির্বাচনি কাজ নয় বছর জুড়ে প্রতিটি দলীয় মিছিল মিটিং সভা সেমিনারে অংশ নিয়েছেন। নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি গ্রাম পাড়া মহল্লা তার নখদর্পনে। ৪৯ বছর বয়সী কোহেলি কুদ্দুস মুক্তি কল্লোল ফাউন্ডেশন নামে একটি সামাজিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে ২০১২ সাল থেকে তিনি নির্বাচনী এলাকার অসহায় মানুষের জন্য কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর সঙ্গী হিসেবে তিনি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেন এবং চীন সফর করেন। নির্বাচনী এলাকার সাধারণ ভোটাররা বলেছেন, অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপি বড়াইগ্রামের মানুষকে খুব ভালবাসতেন। মৃত্যুর আগে তিনি তার জানাজা বড়াইগ্রাম পাইলট হাই স্কুল ও গুরুদাসপুর পাইলট হাইস্কুল মাঠে করার কথা বলে গেছেন। এই এলাকার মানুষ তার ভালবাসার প্রতিদান দিতে চান। সে কারণেই তারা এমপি তনয়া কোহেলি কুদ্দুস মুক্তিকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে সংসদে পাঠাতে চান।
১৯৭৫সালে স্বপরিবারে জাতির জনককে হত্যার পর রাজশাহী বিভাগে তিনিই প্রথম বিক্ষোভ করেন এবং আটক হয়ে টানা ৫বছর কারাভোগ করেন। ফলে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সাথে এমপি আব্দুল কুদ্দুসের পরিবারের রয়েছে গভীর সর্ম্পক। গত ৩০ আগষ্ট সকালে ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস এমপি মৃত্যু বরণ করেন। জাতীয় সংসদ শোক প্রস্তাবের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তোফায়েল আহমেদ ও অ্যাডভোকেট জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ শীর্ষ নেতারা সারা জীবন সংগঠনে আব্দুল কুদ্দুসের অবদানের কথা অকপটে স্মরণ করেন।
বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান ও গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনিসুর রহমান বলেন, সংসদের ভাষনের মাধ্যমেই জাতি বুঝতে পেরেছে অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের প্রতি দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কতটা ভালবাসা ও সহানুভূতি রয়েছে। ফলে তারা মনে করেন প্রধানমন্ত্রী এমপি তনয়া কোহেলি কুদ্দুস মুক্তিকে উপ-নির্বাচনে মনোনয়ণ দিতে পারেন। তার প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সহানুভূতি রয়েছে। এ ছাড়াও এখানে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী. গুরুদাসপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, বনপাড়া পৌর মেয়র কে এম জাকির হোসেন, গুরুদাসপুর পৌর মেয়র শাহ নেওয়াজ মোল্লা ও জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আহাম্মদ আলী।