// নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুর উপজেলার কদিমচিলানে স্থানীয় বর্তমান এমপি শহিদুল ইসলাম বকুল ও সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ অনুসারীদের দ্বন্দ্বে ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদককে রগ কেটে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও তার বাবাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকেলে আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নিহত ওসমান গনির ছোট ভাই কুতুব উদ্দিন বাদি হয়ে রোববার রাত সোয়া ১২টায় জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি স্থানীয় পুকুরপাড়া চিলান গ্রামের বাসিন্দা মহসিন আলমকে এক নম্বর ও তার বাবা মোখলেসুর রহমানকে ২৫ নম্বর আসামী করে মোট ২৫জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তরকৃতরা হলেন, উপজেলার কদিমচিলান ইউনিয়নের পুকুরপাড়্ চিলান গ্রামের মোখলেসুর রহমান, তার ছেলে মো. মহসিন আলম (২৮), ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত নসিম উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে মো. আব্দুল লতিফ প্রামানিক (৫৫) এবং দুয়ারিয়া গ্রামের নওশাদ আলীর ছেলে মো. নাদিম (৩৪) ও আফসার আলীর ছেলে মোহা. জাকিরুল ইসলাম। এর আগে রোববার সকালে কদিমচিলান ইউনিয়নের ডাঙ্গাচিলান গ্রামে স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক ওসমান গণিকে (৪৫) প্রকাশ্যে হাত ও পায়ের রগ কেটে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। গত জানুয়ারিতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক মৃধাকে দুর্বৃত্তরা দিনের বেলায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় ওসমান গণি প্রধান আসামি ছিলেন। গণির স্বজনদের অভিযোগ, আব্দুর রাজ্জাক মৃধা হত্যা মামলার জেরে গণিকে দিনদুপুরে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকেরা। নিহত গণির অপর ভাই আফছার আলী বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ করি এবং বর্তমান সংসদ সদস্য (নাটের-১) শহিদুল ইসলাম বকুলের অনুসারী। অন্যদিকে হামলাকারীরা সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের অনুসারী। আব্দুর রাজ্জাক খুনের পর থেকেই তার অনুসারীরা আমাদের খুন-জখমের হুমকি দিয়ে আসছিল। রোববার সকালে প্রতিপক্ষের সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম, সাইফুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন হামলা চালিয়ে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। তবে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২৫জনের মধ্যে বেশির ভাগই বিএনপি জামায়াতের নেতা কর্মী। বিষয়টি জানতে চাইলে মামলার বাদী কুতুব উদ্দিন দাবী করেন, তার ভাইকে বিএনপি জামায়াতের নেতা কর্মীরাই হত্যা করেছে। হত্যাকান্ডের সময় ঘটনাস্থলে বিএনপি জামায়াতের লোক না থাকলেও কিভাবে তারা হত্যা করলো জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।