নাটোরে শহীদ রেজা-রঞ্জু সেলিম ও বাবুল এর ৫২ তম শাহাদৎ বার্ষিকীপালিত

নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ৭১ এর বীরসেনা শহীদ রেজা-রঞ্জু সেলিম এবং বাবুল এর ৫২ তম
শাহাদৎ বার্ষিকী পালিত শাহাদত বার্ষিকী পালিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে নাটোর পৌরসভার
আয়োজনে শহরের কানাইখালিস্থ নিজ বাড়ির আঙ্গীনা চত্তরে শহীদদের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান,
দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এসময় নাটোর পৌর মেয়র ঊমা চৌধুরী জলি,
নাটোর জেলা আওয়ামী-লীগের সহ-সভাপতি ও জজ কোর্টের পিপি এ্যাডঃ সিরাজুল ইসলাম,
মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, শহীদ রেজা-রঞ্জুর স্বজন এবং আওয়ামী-লীগ ও পৌর
সভার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ কবরে পুষ্প স্তবক প্রদান করেন।
পরে সেখানে পৌর মেয়র জলি চৌধুরী ও এ্যাডঃ সিরাজুল ইসলাম সেখানে বক্তব্য দেন। এসময়
অন্যান্যের মধ্যে জেলা আওয়মীলীগের যুগ্ন সাধারন সৈয়দ মোর্তুজা আলী বাবলু, নাটোর
ইউনাইটেড প্রেস ক্লাবের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সুফি সান্টু, পৌর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের
কাউন্সিলর কহিনুর বেগম পান্না, নারগিস বেগমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য একাত্তরের এই দিনে নাটোরের তৎকালীন ছাত্রলীগ ও সংগ্রাম পরিষদ নেতা মজিবর রহমান
রেজা এবং গোলাম রব্বানী রঞ্জু ভারতে প্রশিক্ষণ শেষে গুরুদাসপুর এলাকায় ঢুকে যুদ্ধ চালিয়ে
যেতে থাকেন। একসময় তারা পাকিস্থানী দোসরদের প্রতারনার শিকার হয়ে রাজাকার-আলবদর
বাহিনীর হাতে ধরা পরেন। উপজেলার মশিন্দা এলাকা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্মম নির্যাতনের
পর হত্যা করা হয় তাদের দু’জনকে। শরীরে পেরেক ঢুকিয়ে ও সিগারেটের ছাঁকা দিয়ে নির্মম
নির্যাতনের পর ১ সেপ্টেম্বর তাদের হত্যা করা হয়।
অপর দুই শহীদের মধ্যে বাবুলকে পাকসেনারা ধরে নিয়ে গিয়ে ৭১ এর ২০ এপ্রিল হত্যা করে এবং
সেলিম চৌধুরী নওগাঁর রণাঙ্গনে ১ ডিসেম্বর শহীদ হন। শহরের কানাইখালী এলাকায় রেজা ও
রঞ্জুকে দাফন করা হয়। মৃতদেহ না পাওয়ায় অপর দুই শহীদের পরিধেয় কাপড় একই স্থানে কবর দেয়া হয়।