// আব্দুল জব্বার , পাবনা: পাবনার সাথিঁয়া উপজেলার ৪১নং শরিষা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক ইসমত আরা’র বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি।
অভিযোগ সুত্রে জানা য়ায়, স্কুলের মালটিমিডিয়া অর্থের বিনিময়ে ভাড়া দিয়ে প্রধান শিক্ষক আর্থ আত্নসাৎ করেন। স্কুলে কোচিং ব্যবসার সাথে জড়িত। ১০ বছররে বাৎসরিক বিভিন্ন খাতের অনুদান সমূহের অর্থ ব্যয় না করে আত্মসাত করেছেন। বর্তমান সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী পরিকল্পনা এলাকার আওয়মী লীগ বিরোধীদের সাথে বিদ্যালয়ের কক্ষে বসেই করেন । সাবেক স্বসাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু স্থাপিত ভিত্তিপ্রস্থরটি ভেঙে ফেলেছেন। ২০১৩ সালে স্কুলের নতুন দ্বিতল ভবন নির্মাণের সময় স্কুল সংলগ্ন কবরস্থান থেকে স্কুলের জন্য জমি ক্রয় করেন । আজ পর্যন্ত ও প্রধান শিক্ষক করবস্থানের পাওনা ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন নাই। এ বৎসর স্কুলের সার্বিক উন্নয়ন, ক্রয় ও অন্যান্য খাতে ব্যয়ের জন্য সরকারের বাৎসরিক বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমান বা সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি প্রধান শিক্ষক কখনোই স্কুল ম্যানেজিং কমিটি বা কোনো শিক্ষককে অবহিত করেন নাই। প্রধান শিক্ষক স্কুল ম্যানেজিং কমিটিকে ১৫ আগস্টের জাতীয় শোক দিবসে অংশগ্রহণ না কারার জন্য বলেছেন । স্কুল ভবন রঙ করার জন্য বিগত প্রায় বা দুই বছর আগে রঙ কিনেছিলেন। সে রঙের বাকি টাকা পরিশোধ না করে সরকার বরাদ্দকৃত অর্থ তিনি আত্মসাত করেছেন । স্কুলের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ঠ করছেন।
গত ২২ আগস্ট প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত সচিব ( প্রশাসন ) এর বরাবর অভিযোগ করেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. ইমরুল কবির।
প্রধান শিক্ষক ইসমত আরা বলেন, করবেব জায়গা সরকারি ভাবে অনুদান বা বরাদ্দ পাওয়া যায় নাই। জমি কেনার সময় আমি ছিলাম না এলাকার স্বার্থে গভনিং বডি এবং এলাকাবাসী জমি কিনেছে এবং তারাই টাকা দেবে। আমার সকল ব্যয় ভাউচারে সভাপতি স্বাক্ষর আছে। আমার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা। ১৫ আগষ্ঠে সভাপতিকে ডাকা হয় নাই কেন? এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান প্রধান শিক্ষক।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, গতকাল অভিযোগের কাগজটি পেয়েছি, ব্যস্ততার কারণে এখনও তদন্ত কার্যক্রম শুরু করতে পারি নাই। দ্রু সময়ের মধ্যে তদন্ত কাজ শুরু করব।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিক মো. ইউসুব রেজা বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্তের জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ে পাঠানো হবে। বিভাগীয় অফিস সিদ্ধান্ত নেবে।