// বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ার শিবগঞ্জে সমকাল সাংবাদিক ইয়াজিম পলাশের মা ও ছোট ভাইয়ের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে চাচা মো. জাহেদুল ইসলাম (৪৫) ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। সোমবার সকাল ৮টার দিকে জাহেদুল ও তার স্ত্রী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর চড়াও হয় বলে জানা যায়। এতে পলাশের মা-ভাই আহত হন। অভিযুক্ত জাহেদুল শিবগঞ্জের ফাঁসিতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।
পলাশের মা পারভীন আক্তার বলেন, ‘জাহেদুল ও তার স্ত্রী সকালে আমাদের বাঁশঝাড় থেকে বাঁশ কাটতে আসেন। আমি তাদের বাঁশ না কাটতে অনুরোধ করি। এ সময় তারা আমার দিকে দা নিয়ে তেড়ে আসেন। পরে জাহেদুলের স্ত্রী জাকিয়া আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় এবং দু’জন মিলে কিল, ঘুষি, লাথি মারে। এ সময় আমার ছোট ছেলে আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকেও বেদম মারধর করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্বামী মারা গেছেন প্রায় দুই বছর। তিনি সরকারি চাকরি করতেন। তার চাকরির সুবাদে আমরা দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাড়া থাকতাম। সেই সুযোগে তারা অনেকদিন ধরে আমাদের সম্পত্তি দখল করে রেখেছেন। স্বামীর মৃত্যুর পর আমরা বাড়ি ফিরে আসি। কিন্তু তারা সেটা মেনে নিতে পারছেন না।’
পারভীন আক্তারের অভিযোগ, ‘তারা আমাদের তাড়িয়ে দিতে চায়। এ জন্য তারা শুরু থেকেই আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ ও বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করছেন। এমনকি প্রাপ্য অধিকার ও সম্পত্তি থেকেও আমাদের বঞ্চিত করছেন।’
পারভীন আক্তারের ছোট ছেলে ইয়ামিন ইসলাম বলেন, ‘এর আগেও জাহেদুল ইসলাম বেশ কয়েকবার আমাদের বাড়িঘর ভাঙচুর এবং উচ্ছেদের হুমকি দিয়েছেন। আজ আমার মা বাঁশ কাটতে নিষেধ করলে তারা আমাদের মারধর করেন।’
ইয়ামিন বলেন, ‘সম্পত্তি বুঝে পেতে দুই বছর ধরে আমরা বেশ কয়েকবার গ্রাম্য সালিশে বসেছি। কিন্তু তিনি আমাদের এখনও সবকিছু বুঝিয়ে দেননি।’
স্থানীয়রা জানান, একজন শিক্ষক হয়েও জাহেদুল তার এতিম ভাতিজাদের সম্পত্তি বুঝিয়ে দিচ্ছেন না। এরই মধ্যে আজ সকালে স্ত্রীকে নিয়ে ভাবি ও ভাতিজার ওপর হামলা করেছে সে। কিছুদিন আগেও জমি নিয়ে ভাতিজাদের সঙ্গে ঝামেলা করেছে।
তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন জাহেদুল ইসলাম। তিনি বলেন, পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বাঁশ কাটতে গেলে আমার ভাবি-ভাতিজা মিলে আমার ওপর হামলা করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মহসিন খান বলেন, ‘জাহেদুল তার বড় ভাই মারা যাওয়ার পর সম্পত্তি দেখভালের নামে নিজে ভোগদখল করছেন। প্রাপ্য সম্পত্তি থেকে ভাতিজাদের বঞ্চিত করে কৌশলে তা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানতে পেরেছি।’
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, এ বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।