// পাবনা প্রতিনিধি
‘ফ্যাসিবাদ কাউকে বেঁচে থাকতে দেয় না। যদি আপনি নীরব থাকেন, জুলুমের সময় তুমি যদি নিশ্চুপ থাকো তাহলে তুমি জালিমের পক্ষ নিয়েছো। তাই জালিম ও ফ্যাসিবাদী সরকারকে হটাতে রুখে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। ফ্যাসিবাদের হাত থেকে বাঁচার একমাত্র পথ রুখে দাঁড়াতে হবে। এক দফার আন্দোলন চলছে। আর সময় নেই, এখনোই রুখে দাঁড়াতে হবে।’
শনিবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে পাবনার রত্নদ্বীপ রিসোর্টে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার নাগরিক সমাজের ভূমিকা শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব ।
সব শ্রেণীর পেশার মানুষদের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, ‘গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার শুধুমাত্র বিএনপির নয়, এটা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার কিন্তু এই সাংবিধানিক অধিকারের জন্য আমাদের লড়াই করতে হচ্ছে। কারণ এই অধিকার লুন্ঠিত হয়ে গেছে। তাই অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সবারই দায়িত্ব আছে। আমাদের আর কোনো দাবি নেই, একটাই দাবি এই সরকারের পতন। এজন্য কাঁদে কাঁদ মিলে এই আন্দোলনে শরিক হবো। আমাদের যার যার অবস্থান থেকে আমাদের কাজ করতে হবে।’
তারা বলেন, ‘বিচার ব্যবস্থা এমনভাবে দলীয়করণ করেছে, যার জন্য ফ্যাসিবাদের আদালতে দেশের মানুষ গিয়ে বিচার পাচ্ছে না। আদালতকে ব্যবহার করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের সাজা দেয়া হচ্ছে। সাগর-রুনি হত্যা, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় শতাধিকবার তারিখ পেছানো হচ্ছে কিন্তু চার্জশিট দেয়া হচ্ছে না। এভাবে বিচার ব্যবস্থা কব্জা করে সবকিছু শেষ করে দিচ্ছে এই স্বৈরাচারি সরকার।’
নিজেদের সুবিধার জন্য সরকার জনগণকে দুই ভাগে ভাগ করেছে মন্তব্য করে তারা বলেন, ‘এই সরকার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আর মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে শক্তি দুইভাবে ভাগ করেছে কারণ কেউ তাদের বিপক্ষে কথা বললেই তারা তাকে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে শক্তি বলে অ্যাক্ষায়িত করে। প্রশাসন, বিচার বিভাগ, পেশাজীবী সব কিছুই এই সরকার কব্জা করে নিয়েছে। এইসবের জন্যই আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল? একটা ফেসবুক স্ট্যাটাস দিলেও ফ্যাসিবাদের বাহিনী গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।’
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের সভাপতিত্বে বৈঠকে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের মহাসচিব সাংবাদিক নেতা কাদের গণি চৌধুরী, ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ইউট্যাব) মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, সাবেক এমপি কেএম আনোয়ারুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, জেলা জাসাসের আহ্বায়ক খালেদ হোসেন পরাগ, জেলা ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, ছবির গল্পের পরিকল্পনা সহযোগী দ্বীন ইসলাম খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের মাসুদ রানা প্রমুখ।