// জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি নানা অবহেলায় দীর্ঘ বছর ধরে পরে থাকা সম্ভাবনাময় ঠাকুরগাঁওয়ের শিল্প রেশম কারখানাটি জাঁকজমকপূর্ণভাবে শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
কারখানাটি চালু হওয়ায় রেশম চাষের সাথে যুক্ত ১০ হাজার বা তার অধিক চাষির আবারো কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। কারখানায় উৎপাদিত মসৃণ সিল্ক কাপড় আবারো দেশ ও দেশের বাইরে রফতানির আশা থেকে পাঁচ বছরের জন্য এ কারখানাটি ইজারা নিয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের সুপ্রিয় গ্রুপ।
বৃহস্পতিবার সকালে ফিতা কেটে রেশম কারখানাটির শুভ উদ্বোধন করেন ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন এমপি।
উদ্বোধন শেষে আলোচনা সভায় সুপ্রিয় গ্রুপের ফাউন্ডার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ বাবলুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন, জেলা পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহাবুবুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. অরুণাংশু দত্ত টিটো, আঞ্চলিক রেশম কারখানা সম্প্রসারণ রংপুরের উপ-পরিচালক মাহবুল উল হক, ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিষ্ঠা সভাপতি মোদ্দাচ্ছের হোসেন, জেলা ব্যাবসায়ী কল্যান সোসাইটির সভাপতি ফরিদুল ইসলাম ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক মামুন অর রশিদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মোঃ সামসুজ্জামান, ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের সভাপতি মনসুর আলীসহ অন্যান্যরা।
এসময় বক্তারা বলেন, রেশম কারখানা একটি দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঠাকুরগাঁওয়ের রেশম কারখানাটি দুই যুগ ধরে পরে থাকায় জঙ্গলে পরিণত হয়েছিল। সুপ্রিয় গ্রুপের ফাউন্ডার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ বাবলুর রহমানের উদ্যোগে এ কারখানাটি নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে। পরিশেষে কারখানাটির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা ও রেশম উৎপাদনে ঠাকুরগাঁও জেলাকে শিল্পমন্ডিত করবে এই আশা ব্যক্ত করেন বক্তারা।
উল্লেখ্য যে, ১৯৭৭-৭৮ সালে বেসরকারি সংস্থা আরডিআরএস ঠাকুরগাঁওয়ে এই রেশম কারখানাটি স্থাপন করে। ১৯৯৫ সালে রেশম কারখানাটি আধুনিকীকরণের কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বরে। লোকসানের অজুহাতে ২০০২ সালের ৩০ নভেম্বর কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। জমি, যন্ত্রপাতি ও কাচামাল সবই রয়েছে কারখানটিতে।