// রওশন আরা শিলা, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ-প্রায় দশ/ বারো বছর আগের কথা। হাটে হাটে সবজি বিক্রি করতেন মেছের আলী আকন্দ। এতে স্ত্রী ওচার সন্তান নিয়ে দু,বেলা খাবার যোগাড় করাই মুশকিল হয়ে পড়তো তার। অভাব দূর করতে রেলওয়ের পরিত্যাক্ত দশ শতক জমিতে ফুলের চারা উৎপাদন শুরু করেন তিনি।পাশাপাশি অন্যান্য ফলদ,বনজ ও ওষধি গাছের চারাও উৎপাদন শুরু করেন।আর তাতেই পাল্টে যায় জীবন। বছরের চার পাঁচ মাস শুধু ফুলের চারা বিক্রি করে আয় করেন এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা। আর বাকি সময়ে অন্যান্য চারা উৎপাদন করেও কয়েক লক্ষ টাকা আয় হয় তার। আত্রাই উপজেলার ভঁরতেতুলিয়া গ্রামের মেছের আলী আকন্দর সাফল্য দেখে ফুল চাষ শুরু করে অনেকেই এখন স্বাবলম্বী। এমনই একজন উপজেলার মধুগুড়নই গ্রামেরর নুর মোহম্মাদ,তিনি জানান, গত ডিসেম্বর মাসে মোট পঞ্চাশ শতক জমিতে তিনি ফুলের চাষ শুরু করেছেন। এর মধ্যে ত্রিশ শতক নিজের,বাকিটা লিজ নেওয়া। তাতে খরচ প্রায় চল্লিশ হাজার টাকা। আর উৎপাদন করেছেন প্রায় দেড় লাখ টাকার ফুলগাছ।মেছের আলী আকন্দ জানান,ফুলের পাশাপাশি ওষধি, আম, পেঁপেঁ কাঁঠাল, লিচুর চারাও উৎপাদন হয়তার নার্সারিতে। এক সময় মেছের আলী আকন্দ এক সময় আত্রাইয়ে মাছের ব্যবসায়ী ও হ্যাচারীর মাধ্যমে রেনু চাষ করেন। ব্যবসায় তিনি নিঃস্ব হয়ে জান। পরর্বতীতে খাজা মঈনদ্দিন চিশতিয়া আশেকান মুরিদ হয়ে মনের জোরে আবার ফুলচারা চাষ করে ঘুড়ে দাঁড়ান। অক্টোর মাসের প্রথম দিকে চাষিরা দেশি গোলাপ, বিদেশি গোলাপ,চাইনিচ গাঁদা,বর্ষালীগাঁদা,ডালিয়া,সূযমূখি,হাসনাহেনা,গস্ধরাজ,জবা,গেটফুল,চন্দ্রমল্লিকাসহ নানা জাতের ফুলগাছের চাড়া উৎপাদন শুরু করেন।ডিসেম্বর মাসের প্রথম থেকে মাচ মাস পযন্ত এসব ফুলের চারা বিক্রি হয়। তাদের সাফল্য দেখে এলাকার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা ফুলচাষে আগ্রহী হচ্ছেন। বলে জানান তারা ।শুধু ফুলের চারা নয়, পহেলা ফাল্গুন, একুশে ফেব্রুয়ারী সহ বিশেষ বিশেষ দিনকে সামনে রেখে তারা ফুল বিক্রি করেও অনেক টাকা আয় করেন।এই পেশার মানুষ বেশি ভাগ হতদরিদ্র।এলাকার মানুষ বেশ কয়েক বছর ধরেফুল,ফলদ,বনজ ও ওষধি গাছের চারা উৎপাদন করছেন। এতে দীর হচ্ছে দারিদ্রতা।ন্নি গ্রামেীভন্ন