// মৌলভীবাজার প্রতিনিধি ঃ কুলাউড়া উপজেলার ১০ নং হাজিপুর ইউনিয়ন ছাএলীগের নবগঠিত কমিটিকে ঘৃণ্যভাবে প্রত্যাখান করে দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করে খোলাচিঠি দিয়ে মনের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন একজন কর্মী। লেখাটি হুবহু তুলো ধরলাম, তিনি লিখেছেন- গতকাল কুলাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ১০নং হাজিপুর ইউনিয়নে যে পকেটে কমিটি দিয়েছেন যাতে আমাকে ৩নং সহ-সভাপতি করা হয়েছে। সেই কমিটিকে আমি ঘৃণ্যভাবে প্রত্যাখান করলাম। আমার কমিটি প্রত্যাখান করার কারন- আমি সেই স্কুল জীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগ করে আসতেছি। বিগত ১০নং হাজীপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটিতে আমি ১নং সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় গতকাল উপজেলা যে ইউনিয়ন কমিটি দিয়েছে তা হাজিপুরের ইতিহাসে বিরল ও হাস্যকর। এই কমিটিতে বাচ্ছা, বাচ্ছা ছেলেদের পদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনেককে মূল্যায়ন করা হয় নি। যারা পারিবারিক ভাবে আওয়ামী পরিবারের সন্তান, উপজেলার সভাপতির কথিত ভাগ্নে যে গতবার এস এস সি ফেল করেছে তাকে সধারন সম্পাদক করা হয়েছে। সিনিয়রদের কোন মূল্যায়নই করা হয় নি। আমার অনেক বন্ধু-বান্ধব অনেক রাজনৈতিক সহযোদ্ধা যারা অরিজিনাল আওয়ামী পরিবারের সন্তান এবং একসাথে রাজনীতি করেছি তাদের কোন মূল্যায়নই করা হয় নি। যেই কমিটিতে ত্যাগীরা নাই, রয়েছে যারা বিগত সংসদ নির্বাচন ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সরাসরি নৌকার বিরুদ্ধে ছিল তারা। সেই কমিটিতে আমি আবদাল থাকতে পারি না । আবদাল মিরজাফর নয়, আমি আমার সহযোদ্ধাদের সাথে মিরজাফরী করে এই কমিটিতে ৩নং সহ-সভাপতি থাকতে পারি না। এই কমিটিতে সিনিয়র জুনিয়র কোন প্রটোকল মেন্টেইন করা হয়নি। হয়েছে টাকা, ভাগ্না কমিটি। তাই আমি ১০ নং হাজিপুর ইউনিয়ন ছাএলীগের নবগঠিত কমিটিকে ঘৃণ্যভাবে প্রত্যাখান করে আমার পদ থেকে পদত্যাগ করলাম। এখন থেকে আমি ১০ নং হাজীপুর ইউনিয়ন ছাএলীগের কেউ নয়। আমি পদের পাগল নই, যেখানে ত্যাগীরা নাই সিনিয়র জুনিয়র কোন প্রটোকল নাই সেখানে আমি নাই। (তবে আমি আজীবন আওয়ামিলীগের সমর্থক ও জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী হিসেবে কাজ করবো। কোন ভাই লীগ, টাকা লীগ বা ভাগ্নে লীগে আমি আবদাল নাই) জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।