// সঞ্জু রায়, বগুড়া: বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা বুঝতে পেরেছেন বিএনপি নেতাকর্মীদের এই জনসমুদ্রের ঢল আর থামানো যাবেনা। এই জনসমুদ্র গণঅভ্যুত্থানে রুপান্তরিত হয়ে শেখ হাসিনার পতন হবে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে এই অবৈধ সরকার বাধ্য হবে। তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের জন্য আন্দোলন করছে, ভোটের অধিকার ও সাংবাদিক বন্ধুদের জন্য আন্দোলন করছে। গণতন্ত্রের এই আন্দোলন সারা বাংলাদেশের মানুষের আন্দোলন। এই আন্দোলন সর্বস্তরের মানুষকে এক খুঁটিতে নিয়ে এসছে, তাই অবৈধ সরকারের পতন হবেই হবে। তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবেনা। যারা দিনের ভোট রাতে করেছে, তারা আবারও প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চায়।’
বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ্য করে বগুড়া জেলা বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘দাদা বাবুদের সহযোগীতায় ক্ষমতায় এসেছেন? এইবার দাদা বাবুদেরই ১২ টা বেজে গেছে। দাদা বাবুরা বলছেন, তোমদের সাথে আমরা আর নেই। এজন্য শেখ হাসিনার মাথা এত খারাপ হয়ে গেছে। ’
গত ১৮ জুলাই বগুড়ায় পুলিশ বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার দলটির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করে রেজাউল করিম বাদশা বলেন, বগুড়ার মাটি বিএনপির ঘাঁটি। মামলা, হামলা ও গ্রেপ্তার করে বগুড়ায় বিএনপিকে থামানো যাবেনা।’
এই সময় বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমান উল্লাহ আমানের ওপর পুলিশ হামলা চালিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে দাবি করে তিনি তীব্র নিন্দা জানান।
পরে আগামী ২ আগস্ট বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়েদা রহমানের দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার সময় নেতাকর্মীদের বগুড়ায় দলীয় কার্যালয়ে উপিস্থিত থাকার নির্দেশ দেন রেজাউল করিম বাদশা ।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৪ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত বগুড়া শহরের নবাবাড়ি রোডে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে জনসমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকার প্রবেশপথে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে ‘পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হামলা, নির্যাতন ও গ্রেপ্তারের’ প্রতিবাদে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই জনসমাবেশের আয়োজন করে বগুড়া জেলা বিএনপি।
বিএনপির ডাকা এই জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে দুপুর থেকেই জেলার সবগুলো উপজেলা ও বগুড়া শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতা-কর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন। এ সময় বিশৃঙ্খলা এড়াতে বগুড়া শহরজুড়ে বিপুলসংখ্যক পুলিশকে সতর্ক অবস্থায় দেখা যায়।
বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশার সভাপতিত্বে জনসমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির সাবেক সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন চাঁন, বগুড়া জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাহিদ উন নবী সালাম, খায়রুল বাশার, বগুড়া সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আবু হাসান, বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান প্রমুখ।