// বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
বড়াইগ্রামে পদ্মা সেতু ফুটবল টুর্নামেন্টে অনিয়মের কারণে ফাইনাল খেলা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। টুর্নামেন্টে অংশ না নিলেও আরিফ ফুটবল একাডেমী নামে একটি ভূঁইফোড় প্রতিষ্ঠানকে সরাসরি ফাইনালে খেলার সুযোগ দেয়ায় এ নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে রোববার আয়োজকরা সে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে খেলা চালিয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, গত ২৪ জুন গাড়ফা যুব সমাজের উদ্যোগে আটটি টিমের অংশগ্রহণে পদ্মাসেতু ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়। সেমি ফাইনালে বিজয়ী হয়ে ধারাবারিষা ফুটবল একাডেমী এবং লালপুর খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতি ফাইনালে খেলার সুযোগ পায়। কিন্তু আয়োজকরা হঠাৎ করে ধারাবারিষা ফুটবল একাডেমীকে বাদ দিয়ে টুর্নামেন্টে অংশ না নেয়া আরিফ ফুটবল একাডেমীকে ফাইনালে খেলার চিঠি দেন। খবর পেয়ে ধারাবারিষা ফুটবল একাডেমীর পক্ষ থেকে তাদেরকে বাদ দেয়া এবং টুর্নামেন্টের বাইরের টিমকে কিভাবে ফাইনালে সুযোগ দেয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তারা কোন কারণ না দেখিয়েই খেলার তারিখ নির্ধারণ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ধারাবারিষা ফুটবল একাডেমীর টিম ম্যানেজার মাসুদুর রহমান আদালতের স্মরণাপন্ন হলে বৃহস্পতিবার বড়াইগ্রাম আমলী আদালতের সহকারী জজ বিশ^জিৎ চক্রবর্তী খেলায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়াসহ ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। কিন্তু আয়োজক কর্তৃপক্ষ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রোববার বিকালে ধারাবারিষা ফুটবল একাডেমীকে বাদ দিয়েই খেলা পরিচালনা করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পদ্মা সেতু ফুটবল টুর্নামেন্টের সভাপতি তোরাব আলী বলেন, আমি শনিবার আদালতের নিষেধাজ্ঞা নোটিশ হাতে পেয়ে খেলা বন্ধ রাখার কথা বলেছিলাম। কিন্তু স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ গ্রামের লোকজন আমার কথা না শুনে খেলা চালিয়েছে।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি আবু সিদ্দিক বলেন, আমি আদালতের নির্দেশনা পেয়ে দু’পক্ষকেই ডেকে খেলা চালাতে নিষেধ করেছিলাম। তারপরও খেলা চালাচ্ছে শুনে মাঠে পুলিশ পাঠিয়েছি। কিন্তু প্রচুর দর্শকের উপস্থিতিতে খেলা বন্ধ করতে গেলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে বলে তাৎক্ষণিক তা বন্ধ করা সম্ভব হয়নি।