ঈশ্বরদীতে রোগীর স্বজনকে পেটালেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও

// ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতা:

 ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) শফিকুল ইসলাম শামিম কর্তৃক এক রোগীর স্বজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে । রবিবার (১৬ জুলাই)  দুপুরে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ঐ স্বজন শরিফ হোসেন উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের মিরকামারী দক্ষিন পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

ভুক্তভোগীর স্বজন বলেন,  আমার চাচী শারীরিক ভাবে অসুস্থ থাকায় রবিবার দুপুরে তার সাথে আমি হাসপাতালে আসি। এসময় আমাকে দেখেই দৌড়ে আসেন চিকিৎসক শামিম। বলেন রুগি ক্লিনিকে না নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিস কেন? তুই কেন হাসপাতালে ঢুকেছিস বলে গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে সকলের সামনে আমাকে চরথাপ্পর মারতে মারতে বাহিরে বের করে দেন তিনি। একজন চিকিৎসক হিসেবে তার ব্যবহারে আমি হতবাক হয়ে পড়ি এবং তাকে সম্মান দেখিয়ে তাৎক্ষনিক আমি সেখান থেকে চলে আসি।  

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শামিম বলেন, শরিফ স্থানীয় একটি ক্লিনিকের স্টাফ। সে কয়েকদিন যাবৎ অযথা ঘোরাফেরা করে হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট করছিলো। তাকে চলে যেতে বললেও সে যায় নি, পরে তাকে চর থাপ্পর মেরেছি। এটা নিউজ করার কোনো বিষয় না। এসময় তিনি প্রতিবেদককে উদ্দেশ্য করে বলেন,  আপনারা বড় বড় হেডলাইন করে নিউজ করেন। আমাদেরও পত্রিকা আছে আমরাও নিউজ করবো।

 উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আসমা খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার সকল ঔষুধ কোম্পানির বিপণন  প্রতিনিধি ও ক্লিনিক স্টার্ফদের নোটিশ দিয়ে হাসপাতালের ভেতর প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে। শুনলাম তারপর শরিফ আজ হাসপাতালে প্রবেশ করেছে। এ নিয়ে শামিমের সাথে তার কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে শামিম তাকে চড়-থাপ্পর মেরেছে। চিকিৎসক হিসেবে মারধরের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক।

চিকিৎসকের মারধরের ঘটনা ঈশ্বরদীতে সাধারন মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এর আগেও চিকিৎসক শামিমের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ উঠলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। বরং একটি পক্ষ অনৈতিকভাবে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করে যাচ্ছে। ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন যাবৎ চাকুরীর সুবাদে এসব অপকর্ম ধামাচাপা দিচ্ছেন তিনি।