পাবনায় মিথ্যা দূরুত্ব সনদ দিয়ে কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার অনুমোদনের চেষ্ঠা

পাবনা প্রতিনিধি : পাবনায় মিথ্যা দুরুত্ব সনদ দিয়ে কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার অনুমোদন নেয়ার চেষ্ঠা করছে ফাস্টপয়েন্ট কম্পিউটার্স নামের একটি প্রতিষ্টান। অনুমোদন না দেয়ার জন্য কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের প্রতি দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেকনিক্যাল রিসোর্স এসোসিয়েসন পাবনা জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

জানা যায়, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নীতিমালা অনুযায়ী একটি অনুমোদনপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হতে আরেকটি নতুন আবেদিত প্রতিষ্ঠানের ন্যূনতম দূরত্ব হবে বিভাগীয় ও জেলা শহরে ০.৫ কি.মি ও উপজেলা শহরে ১ কিলোমিটার থাকতে হবে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আবেদিত প্রতিষ্ঠান “ফাস্টপয়েন্ট কম্পিউটার্স” পাবনা শহরের ১০ ওর্য়াডে রাধানগর এলাকায় এস্কেন্দার আলী রোডে অবস্থিত। দুই সাঁটার বিশিষ্ট ১টি সেমি পাকা দোকান। যার আয়তন-১০০ স্কয়ার ফিট, যার মধ্যে ৫টি কম্পিউটার, একটি প্রিন্টার, একটি স্ক্যানার নিয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হচ্ছে। মুলত অন-লাইনে বিভিন্ন চাকুরীর ফরম পূরনের ব্যবসা করা হয়। পাশাপাশি ১০-১৫ জন ছাত্রকে কম্পিউটার শিক্ষা দেয়া।

চাটমোহর একটি প্রতিষ্ঠানে রেজিষ্ট্রেশন করে সাটিফিকেট দেয়া হয়। শ্রেণী কক্ষ,ল্যাব, স্টোর, লাইব্ররী, টয়লেট নাই। ভৌত অবকাঠামো প্রয়োজনীয় পরিমান নাই। আবেদিত প্রতিষ্ঠান “ফাস্টপয়েন্ট কম্পিউটার্স” থেকে মাত্র ৫০ গজ দুরে রয়েছে “গ্যালাক্সী কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার” নামের একই জাতিয় আরেকটি প্রতিষ্ঠান। এক্ষেত্রে নীতিমালা অনুসরণ না করে সম্প্রতি আবেদিত “ফাস্টপয়েন্ট কম্পিউটার্স” কে দূরত্ব সনদ প্রদান করেছে পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।   

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ টেকনিক্যাল রিসোর্স এসোসিয়েসন পাবনা জেলা শাখার সভাপতি মো: আতাউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক, জয়ন্ত কুমার বলেন আবেদিত প্রতিষ্ঠান “ফাস্টপয়েন্ট কম্পিউটার্স” থেকে মাত্র ৫০ গজ দুরে রয়েছে “গ্যালাক্সী কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার” নামের একই জাতিয় আরেকটি প্রতিষ্ঠান। এক্ষেত্রে নীতিমালা অনুসরণ না করে সম্প্রতি আবেদিত “ফাস্টপয়েন্ট কম্পিউটার্স” কে দূরত্ব সনদ প্রদান করেছে পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটা কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নীতিমালা বিরোধী। আবেদন একজন করতে পারে কিন্ত মিথ্যা তথ্য দিয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কে বিভ্রান্ত করা উচিত নয়। কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে যাদের পরিদর্শনের দায়িত্ব দেয় তারা নীতিমালা অনুসরণ করলে এধরনের প্রতিষ্ঠান অনুমোদন পাবে না। দেখা যাক কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এধরনের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। 

উপজেলা শিক্ষা অফিসার তাহমিদা আকতার বলেন, আবেদন করার পর আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসারের উপর দায়িত্ব দিয়েছিলাম দুরুত্ব সার্টিফিকেট এ ব্যাপারে তথ্য দিতে তিনি যেভাবে তথ্য দিয়েছেন আমি সেভাবে সার্টিফিকেট দিয়েছি। আমি বাইরে আছি অফিসে এসে ফাইল দেখে কথা বলব। 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. হাফিজুর রহমান বলেন, দুরুত্ব সার্টিফিকেটের কাজ আমি করে দেই ইউএনও স্যার দেয়। মোট কতটা ট্রেনিং আছে কোথায় আছে আমরা জানিনা। কোন এসোসিয়েশ না থাকায় আমরা তথ্য জানিনা। এদের( ট্রেনিং সেন্টার) নিয়ন্ত্রনের কেউ নাই। আমাদের নলেজের বাইরে। উপায় না থেকে আমি দিয়েছি। আমি কোন অনৈতিক অর্থ লেনদেন করে তথ্য দেই নাই।