বিশ্বের যত দামি মশলা

// মশলার যুদ্ধের কথা তো অনেকেরই অজানা নয়। পশ্চিমা অঞ্চলের মানুষের কাছে মশলার কদর অন্তত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ানরা বুঝতে পারবেন না। বিশেষত পশ্চিমা খাবারে মশলার এত কম ব্যবহার আমাদের অবাক করে। রান্নায় সুগন্ধির জন্য বা রাজকীয় আয়োজনের জন্য মশলার ব্যবহার ও কদর কম নয়। বাঙালির ঘরে ঘরে দামি মশলার আয়োজন থাকবেই।

তবে বিশ্বের কথা বিবেচনা করলে কিছু মশলা অনেক দামি। আমাদের দেশেও অনেক মশলার দাম অনেক বেশি। অনেক সময় সাধ্যের বাইরে থাকায় অল্প অল্প করে কেনা হয়। সেসব কিছু দামি মশলার কথা জেনে নেওয়া যাক:

ভ্যানিলা
ভ্যানিলা যে একখানা মশলা তা অনেকেরই জানা নেই। আমাদের দেশে এই মশলা সম্প্রতি এসেছে। আর এই মশলা নানা কাজে ব্যবহার করা হয়। এই মশলার দাম অনেক কারণ উৎপাদন প্রক্রিয়াটি কষ্টসাধ্য। ভ্যানিলা গাছের পড থেকে মূলত মশলা হয়ে থাকে। এগুলো ৩০ সেমি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। পডগুলো পাকার আগে কাটা হয়। তারপর একটি বায়ুরোধী পাত্রে চার সপ্তাহের জন্য সংরক্ষণ করা হয়।

এই মশলা উৎপাদনে যে পরিমাণ যত্নের প্রয়োজন হয় তা অকল্পনীয়। এই মশলা ম্যাক্সিকোতে বেশি উৎপাদিত হয়। তাই এশিয়াতে এর দাম অনেক। আমাদের এখানে ভ্যানিলা এক্সট্র্যাক্ট আনা হয়। তবে সম্প্রতি ভ্যানিলাও পাওয়া যাচ্ছে। ডেজার্ট আইটেমের জন্য এটি অনেকেই ব্যবহার করেন।

বৃষ্টির পানি থেকে মোবাইলের সুরক্ষায়বৃষ্টির পানি থেকে মোবাইলের সুরক্ষায়
এলাচ
পোলাও কিংবা মাংসের তরকারিতে এলাচে কামড় দিলেই হলো। এই মশলা যে আদৌ কেন ব্যবহার হয় তা নিয়ে কিছুক্ষণ আফসোস করতেই হয়। কিন্তু এলাচের ব্যবহার তো থামানো যায় না। এর নানা গুণ রয়েছে। তবে এলাচের সুগন্ধি গুণটিই একে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়।

একটি মজার তথ্য দেই। এলাচ কিন্তু আদা উদ্ভিদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। আর এলাচ দু ধরনের হয়। একটি কালো আর অন্যটি সবুজ। কালো এলাচ রান্নার স্বাদ বাড়ায়। আর সবুজটি মিষ্টিতে ব্যবহার করা হয়। আমাদের দেশে সবুজ এলাচটিই বেশি দেখা যায়। এর দামটিও কম নয়।

দারুচিনি
দারুচিনি নিয়ে কারও অভিযোগ নেই। রান্নায় সুগন্ধির জন্য অনেকে দারুচিনি ব্যবহার করেন। গুড়ো গরম মশলাতেও দারুচিনি গুড়ো করে দেওয়া হয়। তবে দামি মশলার কাতারে এটিও রয়েছে। ষোল-আঠারো দশকে এই মশলার দাম ছিল অস্বাভাবিক বেশি। খাবারে মিষ্টি স্বাদ যোগ করতে এটি ব্যবহার করা হয়। গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে এর চাষ হয় বেশি।

গোলমরিচ
এই মশলার কথা তো বলাই হলো না। গোলমরিচ নিয়ে তো যুদ্ধের দামামাই বেজে উঠেছিল। আরবরা এই মশলা ইউরোপে চালান দিত। পরে ইউরোপীয়রা ভাবলো তাদের বরং এই মশলা খুঁজে বের করে লাভবান হওয়া জরুরি। এখন তো ওয়েস্টার্ন খাবারে গোলমরিচ না দিলে হয় না। অথচ ষোল শতকে তারা গোলমরিচের সন্ধানে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছিল। এটি এখনও বিশ্বের অন্যতম দামি মশলা।